নরসিংদী ,রায়পুরা থানা চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদে কোন চেয়ারম্যান বসে না।
পরিত্যক্ত ও অপরিষ্কার হয়ে পড়ে আছে পরিষদটি। দরজায় তালা জ্বলছে ১৭ বছর ধরে।
ইউনিয়ন পরিষদ হল বাংলাদেশে পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়।
সাধারণভাবে বলা যেতে পারে- ইউনিয়নে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত কাজ, জনকল্যাণার্থে উন্নয়নমূলক কাজ,সেবামূলক কাজ, কৃষি উননয়নমূলক প্রভৃতি কাজ করে এবং গ্রামরক্ষী দল,স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও আইনের আওতাধীনে চেয়ারম্যান ইউনিয়নের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করাকে ইউনিয়ন পরিষদ বলা হয়।
কিন্তু আমাদের রায়পুরা থানা চানঁপুর ইউনিয়নে কোন প্রকার কার্যক্রম নাই,বছরের পর বছর পরিষদের দরজাই তালা জুলতেছে। পরিষদের জিনিস পত্র সব কিছু তার ব্যাক্তিগত কাজে লাগাচ্ছে। তিনি তার বাড়িতে বসে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছে ,প্রতিনিয়ত তিনি বাড়িতেও থাকছেন না । দূর দূরান্ত থেকে আসলে তাকে হয়রানি হতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয় প্রায় ১৬ বছর ধরে এই ইউনিয়নে
হয় না কোনো নির্বাচন,
ইউনিয়নের নামমাত্র কিছু নদী ভাঙ্গনের ফলে
তারা চলে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে
তারা ওখানে স্থায়ীভাবে বসবাস ও ভোটার হয়ে যায়।
এবং তারা কোনভাবেই চাঁনপুর ইউনিয়নে ফিরে আসতে বাধ্য নই।
কিন্তু তাদেরকে ফিরিয়ে আনার নাম করে প্রতিনিধি চেয়ারম্যান জনাব মমিন সরকার সাহেব হাইকোর্ট একটি মামলা ডায়াল করে যার কারণে বন্ধ হয়ে যাই নির্বাচন।
ইতিমধ্যে কেটে যাই প্রায় ১৬ বছর এরই মাঝে এলাকার কিছু লোকেরা হাইকোর্টের নির্বাচন চালু করার আবেদন করলে
অনেক চেষ্টার পরে মহামান্য হাইকোর্ট নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রায় ও নির্দেশ প্রদান করেন
কিন্তু জনাব মোমিন সরকার সাহেব রায়ের বিরুদ্ধে বার বার আপিল করে বন্ধু রাখে নির্বাচনকে
এলাকার লোকজন স্থানীয়রা চাই এই ইউনিয়নে যেন নির্বাচন হয়।
জনগণ চায় তাদের ভোটার অধিকার ফিরে পেতে।