নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া রোকন (৬০)এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালনো হয়েছে । রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে দুর্বৃত্বরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, আহত শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ওরফে রোকন উদ্দিন সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ডাউকি গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে । তিনি সন্ধ্যার দিকে অটোরিকশায় করে হামলাকারীদের বাড়ির সামনে দিয়ে সান্দিকোনা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে ডাউকি গ্রামের মসজিদের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের আলা বক্সের ছেলে তাইজ্জত আলীর নেতৃত্বে মাসুদ, রাকিবসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী শাফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া রোকন উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে সান্দিকোনা বাজারে শফিকুল ইসলাম রোকনের ভাতিজা সজিবের সঙ্গে তাইজ্জত আলীর ছেলে রাকিবের কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা হয়েছিল । এরই জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।।
শফিকুল ইসলাম রোকনের উপর হামলার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এর প্রতিবাদে রাতেই ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাহিতপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান।
এব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে এই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে । তা ছাড়া হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি । তিনি আরও বলেন, ছেলে-পেলেদের কথা কাটাকাটি বা মারামারির বিষয়টি রোকন উদ্দিন সাহেব জানতেনই না। বিনা অপরাধে তার উপর এই বর্বর হামলাকরা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে ।