নরসিংদীর মনোহরদীতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের দেওয়া বিরিয়ানী খেয়ে শিশুসহ প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারী)উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামপুর,পূর্ব রামপুর,জীবকায়া,চর সাগরদী,তাতারকান্দা,কানারাবাড়ী,নূর আহম্মদপুর ও পাড়াতলা এলাকায় জুমআর নামাজের পর মসজিদে বিতরণ করা বিরিয়ানী খেয়ে তারা অসুস্থ হন বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান,খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য,সেলিনা বেগম বিভিন্ন মসজিদে জুম,আর নামাজের পর মুসুল্লীদের মাঝে বিরিয়ানীর প্যাকেট বিতরণ করেন।প্যাকেট করা এসব বিরিয়ানী অধিকাংশ মুসুল্লীরা বাড়ীতে নিয়ে যান।বাড়ীতে নেওয়ার পর যারা এই বিরিয়ানী খেয়েছেন তাদের অধিকাংশই জ্বর,বমি এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।
অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুসহ প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ।এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।অসুস্থদের অনেকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।ভুক্তভোগী মুসুল্লীরা জানান এ বিরিয়ানী খেয়ে তারা ও তাদের পরিবারসহ প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।তারা পেটব্যথা,বমি,ডায়রিয়া এবং জ্বরে আক্রান্ত হন।নূর আহম্মদপুর গ্রামের আবুল কালাম(৩২)জানান,এ বিরিয়ানী খেয়ে গতকাল রাত ২ টা থেকে আমি ও আমার পরিবারের ৩ জন ডায়রিয়া, জ্বর,বমি এবং পেটব্যথায় আক্রান্ত হয়েছি।একই গ্রামের আবু সাইদ জানান,তারও একই অবস্থা,পাড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা,খিদিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন আমি ও আমার বড় ভাই এ বিরিয়ানী খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।এ ব্যাপারে খিদিরপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জানান,আমি নেক নিয়তে ২৫০০ বিরিয়ানী প্যাকেট জুমআর দিন বিভিন্ন মসজিদে মুসুল্লীদের মাঝে বিতরণ করি।কিন্তু কিসের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।তবে অসুস্থদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে,মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা,ডাঃরাশেদুল হাসান মাহমূদ বলেন,বিরিয়ানী খেয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।খাদ্যগুলো অস্বাস্থ্যকর থাকায় খাদ্যের বিষক্রিয়ায় তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল।এখন তারা সুস্থ্য এবং অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।