দীর্ঘ ২৩ বছর পর আজ ২ জুলাই পটুয়াখালীতে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহুল প্রতীক্ষিত এই সম্মেলন ঘিরে জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে উৎসব। ইতোমধ্যেই সম্মেলন স্থলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তুতিও শেষ। সকাল ১০ টায় শুরু হয়েছে সম্মেলন। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে বিকাল ৩ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভোট গ্রহণ শুরু হবে বিকাল ৫ টায়।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক, এবিএম মোশারফ হোসেন, সদস্য মো. হাসান মামুনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্ধিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হাসু সরকার কুট্টি ও মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না। এর মধ্যে মাকসুদ আহমেদ পান্না সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর অনুসারি।
সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. মজিবর রহমান টোটন, বশির আহমেদ মৃধা, এ্যাড. তৌফিক আলী খান কবির, মো. সাইদুর রহমান তালুকদার, মো. মনিরুল ইসলাম লিটন ও দেলোয়ার হোসেন নানু এই ৬ জন প্রতিদ্বন্ধিতায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এ দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাড. আবদুল হক ফরাজীর কাছে সভাপতি প্রার্থী মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড. তৌফিক আলী খনান কবির’র দাবীর প্রেক্ষিতে ভোট কেন্দ্র সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের পরিবর্তে জিমনেশিয়াম যেখানে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ ছাড়াও তারা ভোট গ্রহণ কালীন সময়ে ছবি ও এনআইডি নাম্বার যুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করারও দাবী করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাড. আবদুল হক ফরাজী মঙ্গলবার রাত ৮ টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, বিকাল ৩ টায় প্রধান অতিথি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এর পর বিকাল ৫ টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ।অপর দিকে সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান, মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ৩০ জুন দুপুরে তার বাস ভবনে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্যেশ্যে বলেন, ছলচাতুরির মধ্যে জেলা কমিটিটা করা হয় নাই। কিন্তু যে কমিটি গুলো থানা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি করা হয়েছে, সে গুলো হয়েছে পকেট কমিটি। আমরা অত্যান্ত খুশি হয়েছি যে, ২৩ বছর পরে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির’র আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, উনি যে বক্তব্য দিয়েছে তা অসত্য ও সঠিক নয়। ২৩ বছর পর সম্মেলন হচ্ছে এটা একটা অসত্য কথা। কারণ ২০০২ সালে উনার সভাপতিত্বে এখানে সব শেষ সম্মেলন হয়েছে। পকেট কমিটির বিষয়টি মিথ্যা এবং বানোয়াট। আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর সমস্ত উপজেলায় কমিটি গঠনের জন্য সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায় এ কমিট গঠন করা হয়েছে। সেখানে কোন পক্ষপাত্বি করা হয় নাই।