1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে থেকে জুস রপ্তানি ডেঙ্গু প্রতিরোধ বরগুনার বামনায় রেলী জান্নাতুল নূর সাফওয়ান ৬ বছরে পা রাখলো পীরগঞ্জে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি কুট্টি সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান টোটন কলারোয়া বাজারের মেসার্স রাসেল ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ঔষধ বিক্রির অভিযোগে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়েছে (বিজিবি) পরশুরামে ফেনীর সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুণী শিক্ষক সম্মাননা রাজাপুরে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ সরকারি প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লাখাইয়ের করাব ইউনিয়নে কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ: জনমনে ক্ষোভ ও প্রশ্ন নির্বাচনী প্রস্তুতি গতি পাচ্ছে গাইবান্ধা-৫ আসনে, মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা

গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ: তদন্তের দাবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন,  ধর্মীয় শিক্ষক মো. আ. জব্বার ও ইংরেজি শিক্ষক আমির হোসেন পিন্টুর বিরুদ্ধে একাডেমিক ও আর্থিক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

প্রাপ্ত অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে কুমিল্লা বোর্ডের পুরোনো  সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। অভিযোগকারীদের দাবি, এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

উত্থাপিত প্রধান অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, আর্থিক অস্বচ্ছতা : শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। বিশেষত, ২০২৫ সালের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ১৮২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোট ৫৪,৬০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো প্রকার রসিদ দেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে শিক্ষকদের নাস্তা খরচ বাবদ ২২৫ টাকা আদায় করে। বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব এবং ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি: বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষক কর্তৃক নকল সরবরাহ এবং পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, যা কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করা হয়েছে। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: কতিপয় শিক্ষক প্রকাশ্যে বা গোপনে কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত এবং ক্লাসের চেয়ে কোচিংয়ে অধিক মনোযোগী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রাইভেট কিংবা কোচিং এ না গেলে কম মার্কস দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, জাল সনদ ব্যবহার এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগও আনা হয়েছে। সম্পদ আত্মসাৎ: বিদ্যালয়ের পুরাতন আসবাবপত্র, ব্যবহারিক উপকরণসহ বিভিন্ন সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। হয়রানি: অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন, এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে শিক্ষক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষক  আ. জব্বার ও ইংরেজি শিক্ষক আমির হোসেন পিন্টু স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এসব অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মান এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে উল্লেখিত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তারা মনে করেন, একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ ফিরে আসবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com