ভোলা সদর উপজেলা ১০ নং ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড টুমচর মসজিদের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। অদ্য ২ জুলাই (বুধবার) সকাল ১১ ঘটিকার সময়।
শহীদের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহমুদ বুলবুল, ভোলা জেলার সিভিল সার্জন ড. নাঈমুল হাসনাত, মিরপুর থানার মামলার ইনভেস্টিগেশন অফিসার মোঃ কবির, শহীদ শাকিলের পরিবারবর্গ, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস কমান্ডার, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আল-আমীন রহমান, মিরপুর ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাব্বী কাউসার, ভোলা জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠক তানজিল হোসেন, মেহেদী হাসান মাহি, জুয়েল রানা।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহমুদ বুলবুল বলেন, “সিএমএম কোর্টের আদেশে আমরা শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিল এর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করেছি। আমরা তার শরীরের খণ্ডিত ৯৬ টি হার পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে আমরা তাঁর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করবো এবং পূর্বের নির্ধারিত স্থানে তাঁকে দাফন করা হবে৷”
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমীন রহমান বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে সামনের সারিতে লড়াই করে শহীদ হয়েছেন শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিল। শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়েই নয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে শাকিল সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের হাজারো প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখছি একটা গোষ্ঠী জুলাইয়ের অভ্যুত্থানকে তাদের রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করতেছে।অভ্যুত্থানকে তারা নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করতেছে। আর এই গোষ্টীস্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়ে রক্তাক্ত এই অভ্যুত্থানকে যদি ব্যর্থতায় পযবসিত হয় জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। জুলাই অভ্যুত্থানের বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ কোন অগ্রগতি আমরা দেখিনি। সকল শহীদের মর্যাদা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানের শেষ পর্যায়ে ৪ আগস্টে মিরপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হোন জুলফিকার আহমেদ শাকিল, তাকে ঢাকার আঁগারগাওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হলে ৭ আগস্ট জুলফিকার আহমেদ শাকিল শহীদী মৃত্যুবরণ করেন।