জুলাই আহত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ গতকাল কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক জরুরি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল পুলিশের এক সদস্য রনির সামাজিক মাধ্যমে জুলাই নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট, যা জনমনে গভীর ক্ষোভ ও দুঃখের সৃষ্টি করেছে। মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান সকলের বক্তব্য শুনে বলেন,
“আমরা আপনাদের কাছে লজ্জিত। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে আইন নিজস্ব গতিতে চলে এবং কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয় না। অভিযুক্ত রনির বিষয়ে তদন্ত চলছে। আমরা ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় নিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পুলিশ সুপারের এই বক্তব্যে সভায় উপস্থিত অধিকাংশ ব্যক্তি সন্তোষ প্রকাশ করলেও, কয়েকজন আহত আন্দোলনকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের ভাষায়,
“জুলাই শহীদদের রক্তে গড়া আন্দোলনকে অবমাননা করা যেমন অন্যায়, তেমনি সেই অন্যায়কারীর সঙ্গে একমত হওয়াও আরেক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। অন্যায়ের সঙ্গে মত পোষণ করা মানেই জুলাইকে শেষ করে দেওয়া—আমরা এটা মানি না, মানতে পারি না।”
আন্দোলনকারীরা আরও বলেন,
“আমরা আইন মেনে চলি, কিন্তু আইনের গতি যদি শ্লথ হয় বা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় যদি অপরাধীরা রক্ষা পায়—তাহলে আমরা রাজপথেই আবার দাঁড়াতে বাধ্য হবো।”
মতবিনিময় সভা শেষে আন্দোলনকারীরা রনির দ্রুত গ্রেফতার ও চাকরিচ্যুতির দাবি জানানো জানিয়েছে।