1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদপুরের সালথায় পানির অভাবে পাট নিয়ে সঙ্কটে চাষিরা, স্লুইচগেইট খুলে দেওয়ার দাবী মোংলায় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম নকলায় চন্দ্রকোণা ইউনিয়ন কৃষকদলের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন রাজাপুরে লটারির নামে জুয়া, মাইকিং করে চলছে টিকিট বিক্রি নন্দীগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষকের দাফন সম্পন্ন কয়রায় চেয়ারম্যান মাহমুদের অপসারন ও শাস্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন আদমদিঘীতে জামায়াতের সমাজকর্মী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া গলিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত, গ্রেপ্তার ১ করেছে পিবিআই পলাশবাড়ীতে প্রভাবশালী একটি পরিবারের ভয়ে দিশেহারা কানাডা প্রবাসি দুই ভাইসহ এলাকাবাসী রামভদ্রপুর গ্রামে রোডস অন হাইওয়ে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম

বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে উপকূলের জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্র উত্তাল, বেড়েছে ঋণের বোঝা

মো, মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী , দৌলতখান (ভোলা)
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে
একদিকে বৈরী আবহাওয়া, অন্যদিকে একের পর এক সরকারি নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা ভোলার দৌলতখানের  উপকূলের হাজারো জেলে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার অনুমতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখনো জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে নামতে পারেননি। আবার যেসব জেলে সমুদ্রে গেছেন তাদের অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে। যার কারণে জেলেদের মনে জমেছে হতাশা, অন্যদিকে বেড়েছে ঋণের বোঝা।
স্থানীয় সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা জারির আগেও সাগরে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুক বেঁধেছিলেন এবার রুপালি ইলিশে ভরবে তাদের জাল। কিন্তু সাগরের ঝোড়ো হাওয়া এবং উঁচু উঁচু ঢেউয়ে তাদের সকল আশায় গুড়েবালি। কিছু জেলে ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরার জন্য গেলেও এখনো শত শত জেলে ঝুঁকি নিচ্ছেন না। গত বছরও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি জালে। এ বছর ভাগ্যে কী রয়েছে জানি না।
জেলে পল্লিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলেরা। দীর্ঘ দুই মাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও বৈরী আবহাওয়া এবং ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের জেলে শাহাবুদ্দীন বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলারে ৫ থেকে ৭ দিনের জ্বালানি এবং রসদ নিয়ে রওনা দিতে হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটি শূন্য অবস্থায় সাগর থেকে ফিরলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। অবরোধের পরে এখন পর্যন্ত যারাই সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছে সবাই খালি হাতে ফিরে আসছে। তাই আমরা হতাশার মধ্যে এখন দিন কাটাচ্ছি।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনজ কুমার শাহা বলেন, ‘জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলের নদী ও সমুদ্র মোহনায় ডুবোচরের সৃষ্টিতে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইলিশের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ থাকার সম্ভাবনা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জেলেরা ঠিকমতো জাল ফেলতে পারছেন না। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জেলেদের জালে মাছ ধরা পরবে বলে আমরা আশা করছি। জেলেরা সমুদ্রে আশানুরূপ মাছ পেলে অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com