ভুয়া ও নিবন্ধনবিহীন অনলাইন পোর্টালের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এশিয়ান টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবং জামিয়া ইসলামিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার সভাপতি মো. হাসিবুর রহমান শামীম।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক শামীমের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, খুলনার পাঠকপ্রিয় দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার নাম ও লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ‘লোকসমাচার’ নামক একটি নিবন্ধনবিহীন অনলাইন পোর্টালের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্তব্য করার পর থেকে। সেই পোস্টে শামীম ভুয়া অনলাইন মিডিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং দৈনিক লোকসমাজ-এর ভাবমূর্তি রক্ষার কথা বলেন।
এরপরই ‘লোকসমাচার’ নামক কথিত অনলাইন পোর্টাল এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ফেসবুক আইডি: Md Ali Jinnah) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “যশোর বিরামপুরের কেরামত বাহিনীর কার্যক্রম এখন শামীমের কব্জায়” শিরোনামে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য ছড়াতে শুরু করেন। এতে শামীমের সঙ্গে এলাকার কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির নাম জড়িয়ে তার সামাজিক মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়।
সাংবাদিক শামীম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একজন রেজিস্ট্রি অফিস সংশ্লিষ্ট দালাল, যিনি সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি জিন্নাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
সাংবাদিক শামীম বলেন,
“আমি সত্য প্রতিষ্ঠার পথে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তারই প্রতিক্রিয়ায় অপসাংবাদিকতার শিকার হয়েছি। ভুয়া মিডিয়া ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমি কখনোই মাথা নত করবো না। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।”
ঘটনার পর থেকেই যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা একমত হয়েছেন যে, ভুয়া অনলাইন পোর্টাল ও অপসাংবাদিকতার লাগাম টেনে ধরতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, না হলে সাংবাদিকতা পেশার উপর এর নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে।