গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রভাবশালী একটি পরিবারের কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কানাডা প্রবাসী দুই ভাইসহ এলাকাবাসী। অভিযুক্ত পরিবারটির বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখল, মারপিট ও হুমকি-ধামকিসহ নানা গুরুতর অপরাধ।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
শনিবার ( ৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রাম ঘুরে ভূক্তভেগীদের বর্ণনায় এসব বিষয় উঠে আসে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা কানাডা প্রবাসি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, তিনি দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে গ্রামের সম্পত্তি দেখভাল করতে গ্রামে আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৭/০৫/২৫ইং তিনি কানাডা থেকে গ্রামে আসেন তিনি।
এদিকে, একই গ্রামের মৃত আজিজল হক শেখ আদার ছেলে অভিযুক্ত আঃ হাই, রউফ অজু, হবিবর রহমান ও নসিবর রহমানসহ তাদের স্বজনরা এলাকায় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে জমি দখলসহ মারপিট ও মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ অহরহ।
সাইদুর আরো বলেন, এবার গ্রামে আসার পর থেকেই বিবাদীরা তাকে টার্গেট করে নানামুখী অপতৎপরতা শুরু করে। একপর্যায়ে গত ২০/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর পৌনে ২ টার দিকে জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার বাকী শেখ এর চায়ের দোকানের সামনে বিবাদীরা তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাদের নিষেধ করায় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয় যে, দুই ভাইকে বাড়ী হতে বেরর হতে দিবে না, বের হলে হাত-পা ভাঙাসহ প্রাণে মেরে ফেলবে। তাদের উদ্দ্যেশ্য প্রবাসির জমিজমা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
সাইদুর রহমানের বড় ভাই কানাডা প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিবাদী শক্তিশালী হওয়ায় তাদের মুখোমুখি হওয়া দূরে থাক, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাননা।
একই গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন জানান, অভিযুক্তরা গায়ের জোরে তার জমি দখর করে রেখেছে। তারা আদালতের রায় বা আদেশ পর্যন্ত মানেন না। তারা এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের জীবন অতিষ্ট করে ফেলেছে।
এলাকার আতঙ্কে পরিণত প্রভাবশালী পরিবারটির বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সরকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, কানাডা প্রবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। আজ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।