বিষখালী নদীর পশ্চিম পাড়ে বামনা উপজেলা এবং পূর্ব পাড়ে বেতাগী উপজেলার অবস্থান। মাঝখানে জেগে উঠা চরটি বামনা উপজেলার রুহিতা গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘেষে জেগে উঠায় নামকরণ করা হয় “রুহিতার চর”। রুহিতার চরের পূর্বাংশের একাংশ বেতাগী উপজেলা সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পশ্চিমাংশের চরাংশ বামনা উপজেলার নদী সীমানায় অবস্থিত থাকে। পাকিস্তান আমল থেকেই জেগে উঠা চরে দুই উপজেলার মধ্য-সীমানা নির্ধারণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে, দুই-এক বছর পর পরই চরে মারপিট ও হাঙ্গামা হয়। প্রায়ই দেখা যায়, বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ও কালিকাবাড়ী এলাকার লোকজন দলবল নিয়ে চরে এসে ফসল কেটে নিয়ে যায়, কিম্বা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। কখনো কখনো তারা বামনা এলাকা থেকে লোকজন ধরে নিয়ে যেয়ে আটকে রাখে ও মারধর করে। সমস্যাটি নিয়ে বহু দেন-দরবার করেও কোন ফলোদয় হয়নি। অতি সম্প্রতি বামনার কৃষকদের দ্বারা রোপিত পাঁচ একরের অধিক ভূমিতে সৃজন করা ধনচে গাছসহ নানা ধরণের উঠতি ফসল বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি করে। তারা জোর পূর্বক জমি চাষ করার প্রচেষ্টা নিলে বামনার কৃষকেরা ধাওয়া করলে দেখিয়ে দেবার হুমকি প্রদান করে দলবল নিয়ে সটকে পড়ে। এভাবে বেপরোয়া আচরণ চলতে থাকলে মারাত্মক বিবাদ ও হাঙ্গামা ঘটতে পারে এবং অনাকাঙ্খিত খুন-জখমের ঘটনা ঘটতে পারে। এক পর্যায়ে রুহিতার চরে হতে পারে বড় ধরণের সংঘাত ওপ্রাণহানি। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। উভয় উপজেলার নদী সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছরের অবস্থান বিবেচনায় চলতি বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা জারি করা দরকার।