পাবনা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় সোমবার সকাল ৯টার দিকে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল আউয়াল মিয়া তার নিজ বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে এক সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে তার সরকারি গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি চালক অসতর্কভাবে অধ্যক্ষের গাড়ির সামনে ঢুকে পড়ে এবং এতে সামান্য ধাক্কা লাগে। এরপর উভয় পক্ষের চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ওই সিএনজি চালক নিজেকে চালক সমিতির নেতা পরিচয় দিয়ে অধ্যক্ষের গাড়িচালকের ওপর চড়াও হয়। এ সময় আরও কয়েকজন সিএনজি চালক এসে অধ্যাক্ষ স্যারের গাড়িচালককে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ শুরু করে এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের ফলে শহরের যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে, অবিলম্বে শহরের কেন্দ্রস্থলে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে ফেলতে হবে এবং অধ্যক্ষের গাড়িচালকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হলে তারা ধীরে ধীরে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সিএনজি অটোরিকশা সমিতির মধ্যে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়।