মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) সকাল ১০টায় পৌরসভা চত্বরে মোংলাবাসী ব্যানারে বন্দর ও পর্যটন নগরী মোংলার রেল স্টেশন হতে ‘মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা’ দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে মোংলায় মানববন্ধন ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী, মোংলা বন্দর বণিক সমিতির সভাপতি মো. হাবিব মাস্টার, মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আঃ কাদের, পর্যটন ব্যবসায়ী জামায়াত নেতা মো. আনিসুর রহমান, সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের মো. এমাদুল হাওলাদার, মাঝিমাল্লা ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন ও অন্যান্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সমুদ্র বন্দর ও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মোংলা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। মোংলা থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি কোনো আন্তঃনগর রেল যোগাযোগ নেই। অথচ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি-আমদানি বাণিজ্য দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এই অবস্থায় মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তাই অবিলম্বে মোংলা-ঢাকা ও ঢাকা-মোংলা দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক মেয়র পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জুলফিকার আলী বলেন, মোংলা-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলে বন্দরনির্ভর ব্যবসা ও বাণিজ্যে গতি আসবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোংলা নাগরিক সংঘের সভাপতি পরিবেশযোদ্ধা মো. নূর আলম শেখ বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে মোংলা টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি জানাই। এই দাবি বাস্তবায়িত হলে আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নত হবে, যা সরকারের ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের মো. মিজানুর রহমান বলেন, মোংলা টু ঢাকা এবং ঢাকা টু মোংলা আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে, বিশেষ করে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ভ্রমণ সহজ ও নিরাপদ হবে।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
כ