ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান-পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, জনাব মোবাশ্শিরা হাবীব খান, পিপিএম-সেবা এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অফিসার ইনচার্জ, ডিবি (দক্ষণ), ঢাকা এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) জুলফিকার আলী সরদার এর একটি চৌকস টিম জেলা গোয়েন্দা শাখা (দক্ষিণ), ঢাকা জেলা এর জিডি নং- ৮৩ তারিখ- ০৫/০৯/২০২৩ মূলে কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অবৈধ অস্ত্রগুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান ডিউটি পরিচালনা করাকালীন বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় অবস্থান করা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চরকালিগঞ্জ জনৈক বেলায়েত হোসেন এর (কোরবান) মার্কেটের নীচ তলায় মিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (দোহার মেরীন ষ্টোর) নামক লেদ ওয়ার্কশপের ভিতরে অবৈধ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরী ও বিক্রয় করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্যর সত্যতা যাচাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন চরকালিগঞ্জ জনৈক বেলায়েত হোসেন (কোরবান) মার্কেটের নীচ তলায় মিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ (দোহার মেরীন ষ্টোর) নামক লেদ ওয়ার্কশপে বর্ণিত ডিবি টিম উপস্থিত হয়ে আসামি ১। মোঃ রিপন হোসেন (৩৫) এবং ২। মোঃ শাহিন (২৭) দুজনকে ঘিরে ফেললে ঘটনাস্থলের সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ০২টি দেশীয় রিভলবার (আগ্নেয়াস্ত্র) উদ্ধার করেন।
তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরী ও হেফাজতে রাখার বিষয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামীদের প্রাথমিকজিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত তিন বছর যাবত ঘটনাস্থলে লেদ ওয়ার্কশপের ভেতরে লেদ কারখানার আড়ালে অবৈধ ভাবে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরী করে অবৈধ ভাবে বিক্রি করে আসছে তারা।
পরবর্তীতে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম-বার সশরীরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং অভিযানটি সম্পর্কে সাংবাদিকবৃন্দকে ব্রিফিং প্রদান করেন। উক্ত বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।