১। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) আজ এক সফল মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে এবং এর সাথে জড়িত দুই মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র K-9 ইউনিটের দক্ষ কুকুর ‘বার্লিন’ এই বিপুল পরিমাণ মাদক শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২। আজ, ১১ জুলাই ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ১৯৩০ ঘটিকায় টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর দমদমিয়া চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ হতে কক্সবাজারগামী একটি ‘পালকি’ বাস (নং কক্সবাজার থ-১১-৬৬৬১) তল্লাশীর জন্য থামায়। বাসটি থামানোর পর, বিজিবি K-9 ইউনিটের দক্ষ সদস্য, ল্যাব্রাডর ডগ ‘বার্লিন’ (বিজিডি-১১২১, নারকোটিক্স, পুরুষ) তল্লাশি শুরু করলে তাৎক্ষণিকভাবে বাসের পিছনের একটি নির্দিষ্ট আসনের নিচে ক্রমাগত সংকেত দিতে থাকে। একই মুহূর্তে ঐ আসনের দুই আরোহীর সন্দেহজনক আচরণ কর্তব্যরত বিজিবি সৈনিকদের নজরে আসে। পরবর্তীতে সৈনিকরা তাদের এবং আসনটি তল্লাশি করে একটি অভিনব লুকানো স্থান থেকে ৭৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী আটক করা হয়। এছাড়াও, আটককৃত আসামীদের নিকট হতে ০২টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে, আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরপূর্বক জব্দকৃত আলামতসহ টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ধৃত আসামীদের বিস্তারিত পরিচয় নিম্নরূপ:
(১) সোহেল রানা, পিতা-সাদেক আলী, গ্রাম-দগরতলী, পোস্ট-মির্জানগর, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা।
(২) সুমন আহমেদ, পিতা-মৃত শাহাবুদ্দিন, গ্রাম-মাজবাড়ী, পোস্ট-নবীনগর, থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা।
৩। এই অভিযানটি মাদক পাচারকারীদের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে যে, কোনো অপতৎপরতাই বিজিবি’র নজর এড়াতে পারবে না এবং দেশকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
*লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান, পিএসসি*
অধিনায়ক
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)