পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দীর্ঘ ১৫ দিন পরে দেখা মিলেছে সূর্য’র। দু’সপ্তাহের টানা ভারী বৃষ্টিপাতে শতশত গ্রাম পানিতে পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। এতে বর্ষাকালীন সবজি সহ নানান ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমন চাষাবাদে বিঘ্ন’র সৃষ্টি হয়েছে। ভেসে গেছে শতশত ঘের মালিকের কোটি টাকার মাছ। গত দু’সপ্তাহ ধরে আকাশ কাল মেঘে ঢাকা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে সূর্য’র দেখা মেলেনি। শুক্রবার সকাল থেকে সূর্য উকি দেয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃষক রোপা আমন চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতির সন্মূখীন হয়েছে। জলাবদ্ধতায় উপজেলার শতশত পরিবার এখনো পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক ঘের মাকিকরা ঘের কিংবা পুকুরের চারদিকে জাল দিয়ে আটকিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ভেসে গেছে অন্ততঃ কোটি টাকার মাছ। এছাড়াও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেতে পানি জমে শশা,চিচিঙ্গা, ঢেড়শ, করলা,কাঁচা মরিচ সহ নানান সবজির ক্ষেত পঁচে গেছে। তবে গ্রামবাসীদের অধিকাংশের অভিযোগ, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে বিভিন্ন খালের বাঁধ আটকে রেখে প্রভাবশালী মহল মাছ শিকার করছে। এ বাঁধ অপসারন না করলে অতি শীঘ্রই এ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না বলে তারা জানিয়েছেন। ফলে সকল প্রকার সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কাঁচা মরিচ সহ সকল প্রকার সবজির দাম চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে মো.সোলায়মান নামে এক সবজি বিক্রেতা জানান, কাঁচা মরিচ ১৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছি ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজিও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। এ দিকে, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে মো.সুলতান নামে এক কৃষক জানান, তার অধিকাংশ সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারনে তার অনেক ক্ষতি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা গ্রামের কৃষক মো খলিলুর রহমান জানান, অবিরাম বৃষ্টপাত জলাবদ্ধতার কারন, তবে বিভিন্ন স্থানের খালে বাঁধ থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তিনি বাঁধ অপসারনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলাম জানান, কৃষকদের স্বার্থে জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলার সকল খালের বাঁধ পর্যায়ক্রমে অপসারন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।