1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চিরিররবন্দরে উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু আটক চাঁদাবাজ রিয়াদে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; চাঁদা না দিলেই শুরু হয়ে রিয়াদের মামলা বাণিজ্য কুড়িগ্রামে অটোরিকশা ও ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ বগুড়া শাহজাহানপুরে ২৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শামিম ও লিয়ন গ্রেফতার কেন্দুয়ার নিখোঁজ সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে বিএনপি নেতা ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী খুলনা জেলা বিএনপি নেতা মোমরেজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: থানায় জিডি, তীব্র প্রতিবাদ শিবগঞ্জে তথ্য সংগ্রের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত ও প্রতারনার চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারীতে ট্রাক-মাহিন্দ্রার সংঘ নিহত ২,আহত ৪ আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্ট, দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ -আহত ১০ ৯ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ৩২ লাখ টাকার ব্রিজের সুফল বঞ্চিত মানুষ

কলাপাড়ায় অস্তিত্ব সংকটে তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর ৪০ জন ফেল

সাইফুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। একটা সময় উপজেলার সর্বত্র এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছিলো। এ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছে। অথচ মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তা এখন অস্তিত্ব সংকটে পরেছে। এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ জনই ফেল করেছে। মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী পাশ করলেও এপ্লাসের খাতায় শুন্য।

 

প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা ও ভরাডুবি ফলাফল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।জানা যায়, ১৯৫০ সালে তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। চলতি ২০২৪-২৫ সেশনে এ বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থী এস এস সি পরিক্ষায় অংশ নিয়েছে।

 

তাদের মধ্যে ১৪ জন উত্তীর্ণ হলেও ফেল করেছে ৪০ জন। যা বিগত সকল বছরের অর্জিত গৌরবকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এমন ফলাফল দেখে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরাও ক্ষুব্ধ।  তবে শিক্ষকরা বলছেন শিক্ষক সংকট ও কোচিং প্রাইভেট নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় এমন অবস্থার কথা।

 

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল খারাপ হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীরা ওই বিদ্যালয় পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কিংবা ডালবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

 

এছাড়া বিগত পাঁচ সাত বছরে বিদ্যালয়টি কোনো জিপিএ ফাইভ অর্জন করতে পারেনি।প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ,  প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাইভেট বানিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়মিত পাঠদান ও মনগড়া ভাবে বিদ্যালয়টি চলছেবছরের পর বছর। শিক্ষকদের প্রাইভেট বানিজ্যের কারনে লেখাপড়ায় ঘাটতি মিলছে শিক্ষার্থীদের।

 

এছাড়া শিক্ষকদের মধ্যেও চলছে প্রাইভেট বানিজ্যের প্রতিযোগিতা। তারা নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ের সুনাম ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য সচেতন মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন অভিভাবকসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

 

তৎকালীন সময় নিয়োগ বানিজ্যে স্থানীয় মেধাবী তরুণরা অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারেনি। দূঃখের বিষয় যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা কেউ স্থানীয় নয় তাই তারা বিদ্যালয়ের প্রতি উদাসীন।  সাথে শিক্ষকদের মধ্যে কিছু অসাধু শিক্ষকের অ-শিক্ষক সুলভ আচরণের কারনেও এমন অবস্থার জন্য দ্বায়ী।

 

তবে তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদুল ইসলাম বলেন, টেস্ট পরিক্ষার পর দীর্ঘ পাঁচ মাস বিদ্যালয়ের সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকায় তারা ইচ্ছেমত স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছে।

 

এতে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম সকল শিক্ষকদের নিয়ে কোচিং করাতে তা অভিভাবকদের জন্য পারিনি। এছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে প্রাইভেট ও কোচিংয়ের প্রতিযোগিতা এবং পাঁচ জন শিক্ষক সংকট থাকায় এমন সমস্যা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান খান বলেন, যে সকল প্রতিষ্ঠান খারাপ রেজাল্ট করেছে তাদের কাছে জানতে চাইবো কেন এমন হয়েছে এবং পরবর্তীতে কি করা যায় সে বিষয়ে তাদের সহযোগীতা করবো।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com