নড়াইলে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক নিজ প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে উত্তেজিত জনতা আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে।
১২ জুলাই শুক্রবার নড়াইল সদর পৌরসভার রঘুনাথপুর গ্রামে অবস্থিত ঘোড়াখালী রঘুনাথপুর বাদাম তলা জামিয়া রহমানিয়া তাসীরুল উলুম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে বলৎকার করার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ঘৃন্নিত এ খবর দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ঐদিনই সন্ধ্যায় স্থানীয় জনসাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কিছু অভিভাবকেরা মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোর্ত্তজা মিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম ও উপস্থিত সাক্ষীগনের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়। এসময় উত্তেজিত জনতার কাছে ঐ শিক্ষক নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করলে স্থানীয় জনতার গনধোলাইয়ের স্বীকার হয়।
পরবর্তীতে নড়াইল সদর থানা পুলিশের একটি টহল টিম এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় আটক করে রাখে।
স্থানীয় জনতা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে জানা যায় ঐ শিক্ষক প্রায়শই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীদেরকে জোরপূর্বক নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে বাধ্যকরতো তবে উপযুক্ত অভিযোগ বা প্রমানের অভাবে প্রতিবার নিজেকে সুকৌশলে বাচিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও ঐ মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শারিরিক অত্যাচার সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় এনে আটক রাখা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ ও উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা নেয়া হবে।