1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারাদেশে চাঁ/দাবাজি ও বিচার বহির্ভূত হ/ত্যার প্রতিবাদে মাদারীপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: চাঁদপুর-২ বিএনপিতে একাধিক, জামায়াতের একক প্রার্থী অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে কাচা সবজিও মুরগির দাম বেশী মধ্যবিত্ত পরিবারের ভোগান্তি সিলেটে চা দিতে দেরি,রেস্তোরাঁ কর্মীকে ছুরিকা ঘাতে হত্যা কালিয়াকৈরে ৩০২বোতল ফেনসিডিল সহ গ্রেপ্তার -২ জন ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে কালিয়াকৈরে বিক্ষোভ সমাবেশ সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ব্যবহারের মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়লো সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, কাকচিড়ায় উপস্থিত নূরুল ইসলাম মনি মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকারীর পরিচয় -মহিউদ্দিন মহি ছাত্রলীগ নেতা রায়পুরে মহিলা মেম্বের ঘরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। এলাকাবাসী ক্ষোভ

কালাইয়ে ভাড়া কমাতে জোটবদ্ধ চাষী- ব্যবসায়ীরা, বাড়তি ভাড়াতেই অনড় হিমাগার মালিকরা

আমির হামজা
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এবার আলু চাষে ব্যাপক উৎপাদন হলেও বাজারে ন্যায্য দাম না পেয়ে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মৌসুমে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করলেও এখন পড়তে হচ্ছে আরও এক বড় সংকটে।হিমাগারে ভাড়া অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।
চাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবি,প্রতি কেজিতে হিমাগার ভাড়া নির্ধারিত ৬.৭৫ টাকা হলেও প্রতিবস্তায় (৬৫ কেজি) আদায় করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, যা অতিরিক্ত ও অন্যায্য। যদিও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ভাড়া ৩৫০ টাকায় নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল,তা মানছেন না হিমাগার মালিকরা।
আলু চাষি গোলজার রহমান বলেন, গতবছর কেজিতে ৭ টাকায় ভাড়া নিয়ে বস্তাপ্রতি ৩৫০ টাকা নেয়া হয়েছিল।এবার কেজিতে ৬.৭৫ টাকা করেও নিচ্ছে ৪৩০ টাকা!তাহলে ভাড়া কমানোর কোনো মানে হয় না।”
চাষিদের হিসাব অনুযায়ী, এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৭-১৮ টাকা। হিমাগার ভাড়া,লেবার,পরিবহন,বস্তা ও সুতলি মিলিয়ে খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ টাকা।অথচ হিমাগার থেকে খালাস করা আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১১-১২ টাকায় ফলে কেজিতে ১৫-১৬ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জেলার ১৯টি হিমাগারে এবার প্রায় ২.৫ লাখ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে,যার মধ্যে খাবার আলু ১.৯ লাখ মেট্রিক টন ও বীজ আলু ৬০ হাজার মেট্রিক টন।জেলার বার্ষিক চাহিদা মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিক টন।ফলে বাকি আলু দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য পাঠাতে হয়।
অতিরিক্ত ভাড়া এবং বাজারে চাহিদা কম থাকায় বর্তমানে সংরক্ষিত আলুর মাত্র ৫ শতাংশ বিক্রি হয়েছে,যেখানে গত বছর এই সময়ের মধ্যে বিক্রি হয়েছিল ৫০ শতাংশের বেশি।ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে চাষি ও ব্যবসায়ীরা গত ২৯ ও ৩০ জুন জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়ক এবং মোসলেমগঞ্জ- কিচক সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
আলু ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন,এক বস্তা আলু সংরক্ষণ, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলে খরচ পড়ছে প্রায় ১১৫০ টাকা।অথচ বিক্রি হচ্ছে ৭৮০- ৮০০ টাকায়।প্রতিবস্তায় ৩৫০- ৩৭০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
জয়পুরহাট কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান,গত বছর আলু কেজিতে ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হলেও এবার ১২-১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বগুড়া কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও কালাইয়ের আরবি স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজের মালিক প্রদীপ কুমার প্রসাদ বলেন,বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ভাড়া নির্ধারণ করেছে,যা বাস্তবতার আলোকে ঠিক আছে।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভিন বলেন,হিমাগার মালিকরা যদি ১-২ টাকা কেজিতে ছাড় দেন, তাহলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কিছুটা রেহাই  মিলবে।এবারের লোকসান শুধু আর্থিক নয়, সামাজিক ও মানসিক চাপও বাড়িয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা আক্তার জাহান বলেন,হিমাগার মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ভাড়া ৩৫০ টাকা নির্ধারণের আশ্বাস পেয়েছি।কিন্তু তারা কথা রাখেননি।বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড.এম আসাদুজ্জামান সরকার বলেন,এবারের লোকসানে আগামী বছর আলু চাষে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হবে। ফলে উৎপাদন কমে যেতে পারে।এর ফলে বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে এবং দাম হঠাৎ বেড়ে যাবে। আবার একবছর পর সেই দাম দেখে কৃষকরা আলু চাষ বাড়াবে তখন অতিরিক্ত সরবরাহে আবার দাম পড়ে যাবে।এই চক্রে কৃষকরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com