গাজীপুরের পাঁচটি উপজেলায় গত ১১ মাসে ২৮৬ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০২ জন, মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১২ জন, মৌখিক নির্যাতনের শিকার ৬৬ জন, সাইবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৬ জন নারী। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত আইন ও সালিশের অগ্নি প্রকল্পের সিএসও সদস্যদের মাধ্যমেপ্রাপ্ত তথ্যের পরিসংখ্যান এটি। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে গাজীপুর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অগ্নি প্রকল্প নারীর প্রতি সহিংসতা অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাল্য বিয়ে হয়েছে ৭ জনের। এরমধ্যে ১৯ শতাংশ ভুক্তভোগী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। ৮১ শতাংশ ভুক্তভোগী নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।পরিসংখ্যান অনুযায়ী আইনী সেবা প্রয়োজন ছিল ৯৫ জন নারীর। চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন ছিল ১৯ জনের, মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ সেবা প্রয়োজন ছিল ৭৫ জনের, আশ্রয় সেবা প্রয়োজন ছিল ৩৬ জনের, ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল ১ জন করে নারীর।
অগ্নি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক কাউন্সিলিং সেবা প্রদান করা হয় ১২০ জন নারীকে। আইনী সহায়তার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৭০ জন নারীকে, সিএসও এর উদ্যোগে স্থানীয়পর্যায়ে সালিশের ব্যবস্থা করা হয় ২৬ জন নারীর, চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় ৯ জন নারীকে, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৪ জন নারীকে, পরামর্শের ভিত্তিতে কোর্ট কেস করেন ১১ জন নারী।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল ও গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জনে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী আসমা খানব রুবা ও জেলা অগ্নি ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান। অগ্নি প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন জেলা অগ্নি ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ও কনসালটেন্ট রাজীব হাসান।