মিঠাপুকুরে বাড়ী ডাকাতিকালে ডাকাতদলের ছুরিকাঘাতে গৃহকর্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটি (৩৮) খুন এবং তার স্বামী গৃহকর্তা মিজানুর
রহমান (৪৫) গুরুত্বর আহত হয়েছেন।আহত গৃহকর্তা মিজানুর রহমান বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামে খুন-ডাকাতির এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত মোরশেদা বেগম বিউটি স্থানীয় ছড়ান ডিগ্রী কলেজের লাইব্রেরিয়ান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং গৃহকর্তা মিজানুর
রহমান দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ আলিম মাদ্রাসার মাওলানা শিক্ষক।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিনের মতো মিজানুর রহমান ও মোরশেদা বেগম বিউটি পরিবারের লোকজনসহ নিজ নিজ শোয়ার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে একদল ডাকাত বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতির উদ্দেশ্যে ডাকাতদল বাড়ীর লোকজনদের বেদম মারপিট করে। এতে গৃহকর্তামিজানুর রহমান ও গৃহকর্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটি বাধা দেয়।একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত করে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুত্বর আহত অবস্থায় গৃহকর্তা মিজানুর রহমান ও গৃহকর্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটিকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পথিমধ্যে গৃহকর্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটি মারা যান। আহত মিজানুর রহমান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রæয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের শালিকাদহ গ্রামে মিজানুর রহমানের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে একদল ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা করে। এ সময় তাদের বাধা দেয় মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম বিউটি। একপর্যায়ে তাদেরমধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এসময় ডাকাতরা তাকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা¯’লে উপ¯ি’ত হয়ে আহত বিউটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অব¯’ায় তিনি মারা যান। আহত অব¯’ায় তার স্বামী মিজানুর রহমান সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই দম্পতির একজন মেয়ে এবং একজন পুত্র সন্তান রয়েছে।ওসি আরও বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত মিজানুর রহমান সু¯’্য হলে ক্ষতির পরিমাণসহ মূল ঘটনা জানা যাবে। রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আবু হাসান মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক সর্বো”চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।