গত ২০২৪ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর যোগদানের পর থেকেই অফিসকে দালালমুক্ত এবং গ্রাহককে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা ছাড়াও পাল্টে গেছে জেলা নির্বাচন অফিসের চিত্র। এই অফিসার ময়মনসিংহে যোগদানের পূর্বে নির্বাচন অফিস নিয়ে জনগণের অনেক অসন্তোষ ও অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলার জনগণ অত্যন্ত সন্তুষ্ট এবং গর্বিত।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা নির্বাচন অফিসে একটি হেল্পডেস্ক করা হয়েছে। হেল্পডেস্ক থাকাতে সেবাভোগীরা কাজের তথ্যাদি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছেও অনেক প্রবাসী ভোটার সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সেবা পেয়ে থাকেন। রয়েছে বসার ব্যবস্থাও। কোনো ধরনের ঘুষ বানিজ্য বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই মিলছে কাঙ্খিত সেবা। সার্বক্ষণিক মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচন অফিসার।
সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, তারা এনআইডি কার্ড সমস্যা নিয়ে আসলে নির্বাচন কর্মকর্তা দ্রুত সমাধান করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ নির্বাচন অফিসে আসলে ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত সেবা পাচ্ছে।
এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন সেবায় এসেছে দৃশ্যমান পরিবর্তন। জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা গেছে-আগের মতো দীর্ঘ লাইনের চিত্র এখন আর নেই। নেই অতিরিক্ত ভিড় বা দালালচক্রের তৎপরতা। সেবা গ্রহীতারা নির্ধারিত সময়ে সরাসরি অফিসে গিয়ে সহজেই সেবা পাচ্ছেন। এই পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমি রেখেছেন বর্তমান সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি ময়মনসিংহ জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে এনেছেন গতি ও স্বচ্ছতা । এনেছেন নজির বিহীন অগ্রগতি। এর ফলে গত ছয় মাসে ৪ হাজারের বেশী সংশোধনী আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, অন্যান্য জেলার মতো ময়মনসিংহ জেলাতেও সংশোধন ও নতুন ভোটারের প্রচুর চাপ আছে। বিগত ৬ মাসে এখানে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ভোটার, প্রায় ২০ হাজার ১শত মাইগ্রেশন, প্রায় ৪ হাজার ৪৮৯টি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।