বরগুনার আমতলী উপজেলায় অপহরনের পর মুক্তিপণ দিতে না পারায় দুইদিন পর পুজাখোলা গ্রামের খালের চরে হোগলপাতার ক্ষেত থেকে তানজিলা নামের এক ষষ্ঠ শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রীর হাত-পা বাঁধা ও গলায় স্কার্ফ পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তানজিলার চাচাতো ভাই হৃদয় খানকে (১৮) পুলিশ আটক করেছে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার পুজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খানের মেয়ে তানজিলা। সোমবার সকালে সে বাড়ীর সামনে থেকে তানজিলাকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতে হৃদয় খানের (১৮) মোবাইল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বাবা তোফাজ্জেল খান মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব হয়। পরক্ষনে হৃদয় খানের মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। উক্ত ঘটনার কারনে মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খানকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ীর সামনে খালের চরে হোগলপাতার ক্ষেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা ও গলায় স্কার্ফ পেঁচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
আটককৃত হৃদয় খান তানজিলার চাচাতো ভাই ও তোফাজ্জেল খানের ভাই শহীদুল খানের পুত্র৷ পুলিশ উদ্ধারকৃত মরদেহ তৎক্ষনাৎ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম ও ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, একটি মোবাইল ফোন থেকে আমার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করায় আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হৃদয় খানকে আটক করা হয়। এ ঘটনা পরিপেক্ষিতে অপহরনসহ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করেন অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হবে।