পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ শ্রমিক তানজীর (২০) নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে লোকচুরির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমির কনষ্ট্রাকশন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
জানাগেছে শনিবার সকাল ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পূর্ব পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্মানাধীন আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। সেখানথেকে নিচে পরে গুরুতর আহত হয় তানজীর। সহকর্মীরা দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশংকাজনক মনে করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে এবং বিকাল ৩ টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহত তানজীর ভোলা জেলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. মহসিনের ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারি কেউই মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেনি।তাঁরা জানান তানজীর দুইতলা থেকে পরে আহত হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে কথা হয় প্রত্যক্ষদর্শী তানজীরের প্রতিবেশী ও সহকর্মী আলী আজগরের সাথে। প্রথমে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছেন বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে তিনি অন্য কাজের সাইটে গেছেন। মৃত্যুর বিষয়টি তিনি জানেন না। তানজীরের নিজ অথবা পরিবারের মোবাইল নাম্বার চাইলে তাঁরা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লেবার সরদার ও তানজীরের প্রতিবেশী মো. মনিরের কাছে জানতে চাইলে তিনিও মৃত্যুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরিবারের ফোন নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইন্জিনিয়ার মো. শাহাবুদ্দিনের ভাষ্য গতকাল দূর্ঘটনার পর দুমকী থেকে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি ফোনের মাধ্যমে জেনেছেন বরিশাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রথমত মৃত্যুর কথা স্বীকার করলেও পরক্ষণে ওই কর্মকর্তা মৃত্যুর বিষয়টি এড়িয়ে যান। এনিয়ে ঘটনাস্থলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আমির কনস্ট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ার ফার্মের অফিস কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনিও মৃত্যুর বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এবিষয়ে থানায় খোঁজ নেন বলে সংযোগ কেটে দেন।
পবিপ্রবির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুস শরীফের মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
দুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বরিশাল থানা থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তথ্য দেয়া হয়েছে।