লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা জমি নিয়ে বিরোধের জেড়ে আলেকজান নেছা(৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই বৃদ্ধা বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে বৃদ্ধার ছেলে আক্কাস আলী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব বেজগ্রাম এলাকার আরিফুল ইসলাম(৩৩), সাইফুল ইসলাম(২৭) ও আব্দুল লতিফ(৫২)। আহত বৃদ্ধা আলেকজান নেছা উপজেলার ওই ইউনিয়নের একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী।
জানা গেছে, আহত বৃদ্ধা আলেকজান নেছার ছেলে আক্কাস আলী প্রায় ৪২ হাজার টাকা দিয়ে অভিযুক্তদের ২ শত জমি ক্রয় করেন। কিন্ত সেই ক্রয়কৃত জমি অভিযুক্তরা রেজিস্ট্রি দিতে টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংষার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। পরে আহত বৃদ্ধা আলেকজান নেছা ওই জমির উপর গেলে অভিযুক্তদের সাথে বাকবিতন্ডা বাধে। এর এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা বাশের লাঠি দিয়ে ওই বৃদ্ধা এলোপাতারি মারধর শুরু করে। এ সময় তার চিতকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান।
আহত বৃদ্ধা আলেকজান নেছা বলেন, আমার ছেলে জমির জন্য তাদের টাকা দিছে। কিন্ত তারা সেই জমি লিখে দিচ্ছে না। আজকাল করে ঘুরাচ্ছে। আমি একটু ওই জমির উপর গেছি তাতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছে তার মিথ্যা, বানোয়াট। আমরা তাদেরকে কোন মারধর করিনি।
এ বিষয়ে আহত বৃদ্ধার ছেলে আক্কাস আলী বলেন, ওরা জমি বিক্রি করবে জানতে পেরে আমি নিতে চাই। এমনকি তাদের ২ শতক জমির যা দাম তাই দিয়ে দেই। কিন্ত তারা রেজিস্ট্রি দেয় না। রেজিস্ট্রির কথা বললেই টালবাহানা শুরু করে। আর আমার মা সেই জমিতে গেছে তা দেখে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বৃদ্ধা মাকে মারধর করে। আমার বৃদ্ধা মায়ের কি দোষ?
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল হক বলেন, ওই বৃদ্ধার গলায় ও হাতে আঘাত লেগেছে। ওনাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।