শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০ জুলাই রোজ রবিবার সন্ধ্যা ৭:৩০ ঘটিকায় ধানহাটী মোড়ে জুলাই স্মৃতি স্মরণে চলচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান টি পরিচালিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব মো: আশরাফুল আলম রাসেল মহোদয় (উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝিনাইগাতী শেরপুর) সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব মো: আল আমিন মহোদয় (অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইগাতী থানা শেরপুর) সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জনাব মো: লুৃৎফর রহমান লাজু (সংগঠক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ) আর ও উপস্থিত ছিলেন বিউটি অফ ঝিনাইগাতী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মো: পারভেজ মোশাররফ, উপস্থিত ছিলেন বিউটি অফ ঝিনাইগাতী গ্রুপের সকল এডমিন প্যানেল সদস্য, উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সমাজ ও প্রমুখ।
চিত্র প্রদর্শনীর ছবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাইদ, মুগ্ধসহ হাজারো ছাত্রজনতার উপর পুলিশী হামলা, ছাত্রলীগের নির্যাতনসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের পালিয়ে যাওয়া পরবর্তী উচ্ছ্বাসের ছবি স্থান পেয়েছে।
এছাড়া প্রজেক্টরে চলছে জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন ভিডিও চিত্র ও ডকুমেন্টরি। এসব ছবি, ভিডিও দেখে অনেকেই আন্দোলনের সংগ্রামের দিনের স্মৃতি তুলে ধরেন। বলেন সেই অকুতোভয় বীর ছাত্রজনতার রাষ্ট্রের জন্য নিবেদিত প্রাণ বিসর্জনের কথা।
জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে, কারো স্বার্থে বিভক্ত না হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। ইনশাল্লাহ। এমন বার্তাই দিচ্ছে এই প্রদর্শনী।
বক্তারা বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪, যা ‘জুলাই বিপ্লব’ হিসেবেও পরিচিত, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এই আন্দোলন ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলেছিল এবং এর মাধ্যমে ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। আন্দোলনের সূচনা হয় সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং ৫ আগস্ট চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। এই সময়ে প্রায় ১,৫০০ মানুষ প্রাণ হারায়। পরবর্তীতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান একটি অন্তর্বতী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং সকল হত্যার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন। হাসিনা সরকারের পতনের তিন দিন পর, ৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ বাংলাদেশের জনগণের সাহস, ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।