স্বাধীনতা পরবর্তী অনেক দলই বার বার রাষ্ট্র পরিচালনার
সুযোগ পেয়েছে কিন্তু জনগণের হতাশা কাটেনি —
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা কাসেমী
মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর শাইখুল হাদিস আল্লামা আহমদ আলী কাসেমী
বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। শাপলায় গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী খুনি ও
তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক
কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন বাতিলের দাবী করেন।
৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার চৌমুহনী পাবলিক হল চত্বরে খেলাফত মজলিস বেগমগঞ্জ
উপজেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির আলোচনায় এ
দাবি পেশ করেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা পূর্ব শাখার সভাপতি ডা. মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে
ও চৌমুহনী শহর সভাপতি মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ মুহাম্মদ ফাইয়াজ এর পরিচালনায়
বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য
অধ্যাপক মাওলানা রুহুল আমিন চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা
মুহাম্মদ শামসুদ্দীন, নোয়াখালী জোন সহকারী পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আলী
মিল্লাত। নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোরশেদ আলম মাসুম।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুর রশিদ, জেলা
সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, ফেনী জেলা সহ-সাধারণ
সমম্পাদক মাওলানা আজিজুল্লাহ আহমদী, জেলা অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক
মাওলানা তাজুল ইসলাম মাহমুদ, মাওলানা ফখরুল ইসলাম ও চৌমুহনী বেগমগঞ্জ উপজেলা
পূর্ব সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন সভাপতি গাজী
সালাহ উদ্দিন আহম্মদ সহ জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা কাসেমী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী অনেক দলই বার বার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ
পেয়েছে কিন্তু জনগণের হতাশা কাটেনি। তিনি আগামী নির্বাচনে খেলাফত মজলিস
মনোনীত প্রার্থীদের দেয়াল ঘড়ি মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য নোয়াখালী বাসীর প্রতি
অনুরোধ করেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পরবর্তীতে বাংলাদেশে সংস্কারের মাধ্যমে
পুনর্গঠনের সুযোগ এসেছে।
মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে এদেশের জনগণকে বারংবার রক্ত দিতে হয়েছে। এখন বিভেদ নয়,
ঐক্য চাই; জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র চাই স্লোগানকে সামনে রেখে অগ্রসর হতে হবে।