যশোরের মণিরামপুরে সম্প্রতি আটক হওয়া যুবকদের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে যশোর জেলা যুবদল। শনিবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যশোর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম. তমাল আহম্মেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক কবির হোসেন বাবু, আমিনুর রহমান মধু, নাজমুল হোসেন বাবুল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, রবিউল ইসলাম রবি, কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আনসারুল হক রানা বলেন, “গত ১ আগস্ট বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয় যে মণিরামপুরে আটক যুবকদের কয়েকজন যুবদল কর্মী। প্রকৃতপক্ষে, আটককৃতরা কারোই যুবদলের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তারা আমাদের কোনো কর্মসূচি বা কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত নন।”
তিনি আরও বলেন, “আটক আবু সিনহা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সাইফুল ইসলাম পেশায় একজন মোটরসাইকেলচালক, শামীমুর রহমান টুটুল মাছের আড়তের কর্মচারী, এবং পলাতক ফয়সাল হুমায়ুন একজন মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতার সন্তান। তাদের সঙ্গে যুবদলের নাম জড়ানো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা।”
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের নেতৃবৃন্দ এসব অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং দোষীদের চিহ্নিত করে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে যশোরের মণিরামপুর পৌর শহরের গরুহাট মোড়ে অবস্থিত আবাসিক হোটেল ‘রজনী নিবাস’-এ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে একটি খেলনা পিস্তল ও ধারালো ছুরি উদ্ধার করে চারজনকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাকের ছেলে ও অভিযুক্ত ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
যুবদলের দাবি, এ ঘটনায় দলের নাম জড়ানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সঠিক তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।