বাবুগঞ্জে কর্ম সংস্হান ব্যাংক স্টাফের হামলার স্বীকার হয়ে রক্তাক্ত যখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও থানায় অভিযোগ করেছেন চায়ের দোকানদার সাগর।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং সন্ধায় বাবুগঞ্জ উপজেলার পাশ্ববর্তী গৌরনদীর থানার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি বাস- স্টান্ডে।
চায়ের দোকানদার সাগর- ৩৩ গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের শাহাজিরা গ্রামের আলী হোসেন সরদারের পুত্র ।
সাগর জানায় ২০১৯ সালে করনা কালীন ভয়াবহ দুর্যোগের সময় তার ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ৪ লক্ষ টাকা লোন গ্রহন করেন বাবুগঞ্জ শাখার আগরপুর কর্ম সংস্হান ব্যাংক থেকে। এবং তার হিসাব মতে এ যাবৎ কাল পর্যন্ত তিনি (সাগর) ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে আগরপুর কর্ম- সংস্থান ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে সাগর দিয়েছেন ২ লক্ষ ষাট হাজার টাকা। এ নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির এক পর্যায় সাগরের একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রামের তার সম্পর্কের চাচা সাংবাদিক জুয়েলকে নিয়ে হিসাব বুঝে নিতে ২৫ আগষ্ট ২০২৫ ইং কর্মসংস্হান ব্যাংকে যান চায়ের দোকানদার সাগর।
তারি ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন তুলে ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাকোকাঠি মিশুক স্টান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে তর্ক জড়িয়ে পরেন কর্ম সংস্থান ব্যাংকের ম্যানেজার মোসাম্মৎ মমতাজ বেগম ও তার সহ – কর্মী শুভ্রত। সাংবাদিক নিয়ে অফিসে যাওয়া অপরাধ হয়েছে নাকি এমন প্রশ্ন তুলতে ম্যানেজার মমতাজের উপস্থিতিতে সাগরকে মেরে রক্তাক্ত যখম করেন ম্যানেজারের সহকর্মি শুভ্রত।
এ ঘটনায় সাগরকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্হানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। অপরদিকে গৌরনদী থানায় লেখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দোকান মালিক সাগর এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনা জানতে পেরে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি সাংবাদিকদের বলেন, লোনের টাকা আদায়ের জন্য সরকারের প্রচালিত আইনি ব্যাবস্হা রয়েছে মারধর ও রক্তাক্ত যখম করে টাকা উত্তোলনের সুযোগ নাই এটা যদি হয়ে থাকে তা দুঃখ জনক ব্যাপার বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে গৌরনদী থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে তদন্তে সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্হ্যা নিবেন এমনটি জানিয়েছেন তিনি। ভিন্নদিকে কর্মসংস্হান ব্যাংকের বিভাগীয় পরিচালক ( ডিজিএম)এর সাথে স্বাক্ষাৎ কালে তিনি বিস্তারিত শুনে একাধিকবার সাংবাদিককে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমার কথা বলার ভাষা নেই বিষয়টি আমাকে আমার মত দেখতে দিন আমি অতি দ্রুত এই অপরাধের ব্যাবস্হা নিচ্ছি।
ভিন্ন দিকে সগরের হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনে ঘটনাটি ভিন্নদিকে প্রভাবিত করতে ও নিজদের দায় এড়াতে কর্মসংস্হান ব্যাংকের ম্যানেজার মমতাজ বেগম তার সহকর্মি শুভ্রতকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছেন।