1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছেলে মেয়েরা স্কুলে ঠিকমত আসা যাওয়া করে কিনা, সকাল সন্ধ্যা বই পড়তে বসে কিনা খোঁজ রাখতে হবে: ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ একদিনের ব্যবধানে ফের দূরপাল্লার বাস বন্ধ : দুর্ভোগে যাত্রীরা ফেনী দেবীপুর সালিশী বৈঠকে বহিরাগতদের হামলা ভাংচুর নন্দীগ্রামে সিলিংফ্যানে স্ত্রীর ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা পি আর বাস্তবায়নের দাবিতে ফুলগাজীতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজা উপলক্ষে মঠবাড়িয়ায় বিএনপি নেতার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে ৪০০ পরিবারে উপহার প্রদান অটো রিক্সার আধিপত্যে হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেল রিক্সার ঐতিহ্য গজারিয়ায় বিএনপির উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে সহায়তা প্রদান মাগুরাতে রবিউল ইসলাম নয়নের দুটি পথসভা ও সমাবেশ

ঠাকূরগাঁওয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ , শিক্ষক পলাতক

মো. আরফান আলী
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে
 ঠাকূরগাঁও  সদর উপজেলা রুহিয়ায় মহিলা মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ বছরের এক  শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের  অভিযোগ উঠেছে তারই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় জামাত নেতা আবু তালেব পলাতক থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাংচুর করেছে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকূরগাঁও সদর উপজেলার ২ নং আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর হাজীপাড়া মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসায়।
জানা গেছে, আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর  গ্রামের ঐ মাদ্রাসায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার  সকালে ক্লাস বিরতির ফাঁকে কৌশলে প্রতিষ্ঠানের রান্না ঘরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ও মুখ চেপে নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তালেব ।
পরে,  বিষয়টি অত্র মহিলা মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থী জানতে পারলে প্রধান শিক্ষক আবু তালেব ছাত্রীদের ডেকে বইয়ের উপরের হাত রেখে শপথ করায় কাউকে না বলার জন্য।
একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানালে গত সোমবার রাতে বিষয়টি জানার জন্য শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মা মাদ্রাসায় যায় কিন্তু মাদ্রাসা গিয়ে প্রধান শিক্ষকে না পেয়ে ফিরে আসে পরে বিষয়টি এরই মধ্যে  এলাকার চারপাশে ছড়িয়ে পরলে মঙ্গলবার ভুক্তভোগীর স্বজনেরাসহ এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে সেই মাদ্রাসা ভাংচুর চালায়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু তালেব সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর মা চায়না বেগম  বলেন, আমি মাদ্রাসায় আমার মেয়ে সু-শিক্ষিত করার জন্য দিছি শুধু তাই নয় যখন আমার মেয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করাই তখন হুজুর আবু তালেবের  হাতে আমার মেয়েকে তুলে দিয়েছি যে ওই মেয়ে শুধু আমার মেয়ে না হুজুরেরও আর সেই হুজুর এমন করলো এটা ভাবতে পারিনা। এমন ভন্ড হুজুরের ফাঁসি চাই এর সঠিক বিচার চাই।
এই বিষয়ে নির্যাতিত শিশুর বাবা মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা কোথায় বাস করি যে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে আমার মেয়ে দিছি একজন হাফেজিয়া করার জন্য আর সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেই আমার মেয়েকে এমন করলো। আমি এর বিচার চাই। অভিযুক্ত হুজুর আবু তালেবের বিষয়ে আইনী কোন পদক্ষেপ নিছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন থানায় যাচ্ছি মামলা করার জন্য।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, গত পরশু দিন অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থীকে কাজ করার নামে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে আর ধর্ষণের কথা জানা জানি হলে সে অত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন তালেব হুজুরের নামে ইতিপূর্বে আরো অনেক ঘটনা আছে যেমন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কথা বলে এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫  জন অসহায় গরিব মানুষের কাজ থেকে জন প্রতি ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিছে। যার বিষয়ে তার নামে থানায় অভিযোগ করা আছে। আর এর মধ্যে আবার ধর্ষণ আমরা এলাকা বাসি আইনের কাছে  সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা থেকে অনেক শিশু সেখানে কোরআন পড়তে যায় আর সেই প্রধান শিক্ষক আবু তালেব এমন জঘন্য  কাজ করলো এই ভন্ড হুজুরের ফাঁসি চাই।
এই বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার সহকারী সাবিনা বেগম বলেন, হুজুর আবু তালেব প্রায় শিশুদের ডেকে নিয়ে অফিসে হাত পা শরীর মেসার্স করে নিতো যেটা আমি একজন শিক্ষক হয়ে আমার ভালো লাগতো না। কিন্তু আবু তালেব হুজুর এই মাদ্রাসার  প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক তাই কিছু বলতে পারতাম নাম।  তবে বিষয়টি আমি হুজুরে বউয়ের মাধ্যমে বুঝতে পারছিলাম। আর সেটা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারলাম শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। এটা সকল শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। এমন শিক্ষকের সর্বচ্চ শাস্তি হওয়ার প্রযোজন।
তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবু তালেবের মা খলেছাতুন নেছা ছেলের দোষ শিকার করে বলেন, তাঁর ছেলের চরিত্রে সমস্যা আছে। উল্লেখ্য আবু তালের স্থানীয় জামাতে প্রভাবশালী নেতা হওয়ায়  এতদিন তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনি। জামাতের এই নেতাকে রক্ষার জন্য উপজেলা পর্যায়ের জামাত শিবিরের  কৌশলে নানারকম অপতৎপরতা শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে রুহিয়া থানা জামাতের আমির আব্দূর রশিদ জানান, প্রধান শিক্ষক আবু তালেব নিজেকে জামাতের পরিচয় দিলেও জামাতের কেউ নয়। এমন জঘন্য লোকের জামাতে কোন স্থান নেই।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com