দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও, জমিদাতা শিক্ষক দম্পতিকে বঞ্চিত করে ভূয়া নিয়োগের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম ঢোকানো এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় মারাত্মক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।
ঘোড়াবান্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (বর্তমানে ঘোড়াবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি স্কুলটিকে ৪৫ শতক জমি দান করেন এবং ঘর মেরামত ও আসবাবপত্রের জন্য প্রধান শিক্ষকের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন। তার স্ত্রী মোছাঃ কোহিনুর রেবা সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন, এই আশাতেই তারা দুজনেই শিক্ষকতা শুরু করেন।
তবে, স্কুলটি ০৬/০৭/২০২২ ইং তারিখে এমপিওভুক্ত হলে প্রকাশিত শিক্ষক তালিকায় দেখা যায়, আমিনুল ইসলামকে বাদ দিয়ে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে অন্য তিনজনের নাম (১। মোঃ মিজানুর রহমান ২। মোঃ রেজওয়ানুর রহমান ৩। শ্রী কাঞ্চন রাণী রায়) জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, এই তিনজনকে এলাকার মানুষ শিক্ষক হিসেবে চেনে না। তাদের ২০০৪ সালের যোগদান দেখিয়ে ২০২০ সালের শিক্ষক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি ও ভূয়া।
বর্তমানে, জমিদাতা আমিনুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর রেবাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে এবং ক্লাস নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তার বেতনের কাগজপত্রও পাঠানো হচ্ছে না। কোহিনুর রেবার প্রতি প্রধান শিক্ষকের অমানবিক অপমান ও অপদস্ত করার অভিযোগও উঠেছে।
এছাড়াও, স্কুলের সহকারী শিক্ষক শ্রী কৃষ্ণ বর্মণের বিরুদ্ধে জুলাই যোদ্ধা হত্যা মামলার আসামী হওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আন্দোলনের পর থেকে তিনি আর স্কুলে আসেন না। অথচ, অভিযোগ উঠেছে যে, রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় হাজিরা খাতায় সই করে তিনি নিয়মিত সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। ২১/০৯/২০২৫ ইং তারিখেও তাকে স্কুলে দেখা যায়নি, যা প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ও জমিদাতা মোঃ আমিনুল ইসলাম গত ০৪/০৮/২০২৫ ইং তারিখে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪/০৮/২০২৫ ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত টিম গঠন করেন।
সবচেয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয় ০১/০৯/২০২৫ ইং তারিখের তদন্তের সময়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযোগকারী আমিনুল ইসলামকে স্কুলে উপস্থিত থাকতে বললেও, তদন্ত চলাকালীন স্কুলের প্রধান গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়! অভিযোগকারী আমিনুল ইসলামকে স্কুলের বাইরে রেখে তদন্ত টিম কেবল প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের কেরানীর বক্তব্য শুনেই তদন্তকাজ শেষ করে দেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার প্রয়োজন মনে করেনি তদন্ত টিম, যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ও জমিদাতা মোঃ আমিনুল ইসলাম ন্যায়বিচারের স্বার্থে জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে পুনরায় তদন্তের আবেদন করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান বলেছেন, স্কুলের সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটি বাস্তবায়ন হবে। দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। ঘোডাবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা রাজিউর রহমান বলেছেন এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। এছাড়াও, জমিদাতা শিক্ষক দম্পতিকে বঞ্চিত করে ভূয়া নিয়োগের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম ঢোকানো এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় মারাত্মক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।
ঘোড়াবান্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (বর্তমানে ঘোড়াবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি স্কুলটিকে ৪৫ শতক জমি দান করেন এবং ঘর মেরামত ও আসবাবপত্রের জন্য প্রধান শিক্ষকের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন। তার স্ত্রী মোছাঃ কোহিনুর রেবা সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন, এই আশাতেই তারা দুজনেই শিক্ষকতা শুরু করেন।
তবে, স্কুলটি ০৬/০৭/২০২২ ইং তারিখে এমপিওভুক্ত হলে প্রকাশিত শিক্ষক তালিকায় দেখা যায়, আমিনুল ইসলামকে বাদ দিয়ে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে অন্য তিনজনের নাম (১। মোঃ মিজানুর রহমান ২। মোঃ রেজওয়ানুর রহমান ৩। শ্রী কাঞ্চন রাণী রায়) জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, এই তিনজনকে এলাকার মানুষ শিক্ষক হিসেবে চেনে না। তাদের ২০০৪ সালের যোগদান দেখিয়ে ২০২০ সালের শিক্ষক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি ও ভূয়া।
বর্তমানে, জমিদাতা আমিনুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর রেবাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে এবং ক্লাস নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তার বেতনের কাগজপত্রও পাঠানো হচ্ছে না। কোহিনুর রেবার প্রতি প্রধান শিক্ষকের অমানবিক অপমান ও অপদস্ত করার অভিযোগও উঠেছে।
এছাড়াও, স্কুলের সহকারী শিক্ষক শ্রী কৃষ্ণ বর্মণের বিরুদ্ধে জুলাই যোদ্ধা হত্যা মামলার আসামী হওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আন্দোলনের পর থেকে তিনি আর স্কুলে আসেন না। অথচ, অভিযোগ উঠেছে যে, রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় হাজিরা খাতায় সই করে তিনি নিয়মিত সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। ২১/০৯/২০২৫ ইং তারিখেও তাকে স্কুলে দেখা যায়নি, যা প্রধান শিক্ষক নিজেই স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ও জমিদাতা মোঃ আমিনুল ইসলাম গত ০৪/০৮/২০২৫ ইং তারিখে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৪/০৮/২০২৫ ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত টিম গঠন করেন।
সবচেয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয় ০১/০৯/২০২৫ ইং তারিখের তদন্তের সময়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অভিযোগকারী আমিনুল ইসলামকে স্কুলে উপস্থিত থাকতে বললেও, তদন্ত চলাকালীন স্কুলের প্রধান গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়! অভিযোগকারী আমিনুল ইসলামকে স্কুলের বাইরে রেখে তদন্ত টিম কেবল প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের কেরানীর বক্তব্য শুনেই তদন্তকাজ শেষ করে দেন। অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার প্রয়োজন মনে করেনি তদন্ত টিম, যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ও জমিদাতা মোঃ আমিনুল ইসলাম ন্যায়বিচারের স্বার্থে জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে পুনরায় তদন্তের আবেদন করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান বলেছেন, স্কুলের সভাপতি যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটি বাস্তবায়ন হবে। দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। ঘোডাবান্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা রাজিউর রহমান বলেছেন এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।