কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে ফয়সাল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যায় প্রভাবশালী নেতার লোকজন। এরপর তাকে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার বাড়ির সামনে রেখে যায় তারা। ২১ ফ্রেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মিনার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।আহত যুবক ফয়সাল মহেশখালী পৌরসভার আলিশান রোড়ের মুহাম্মদ রশিদের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে— বারোটার পর সবাই যখন শহীদ মিনারে ফুল দিচ্ছিল, তখন ৬/৭ জন লোক এসে ফয়সাল নামের ওই যুবককে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। ওইসময় ঘটনাস্থলে অনেক লোকজন থাকলেও কেউ ভয়ে বাঁধা দেননি। পরে তাকে গোরকঘাটা পানবাজার সংলগ্ন মাঠে নিয়ে গিয়ে কোপানো হয় এবং হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়া হয়।
হামলাকারীদের সম্পর্কে এখনো সঠিক তথ্য পায়নি জানিয়ে আহতের ভাই নিহাল বলেন— “রাতে বাড়ির সবাই ঘুমে ছিল। চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম থেকে উঠে বাইরে এসে দেখে ভাই ফয়সাল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন তার অবস্থা ভাল নয়। তার দুই পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। শরীরে বিভিন্ন অংশে জখম রয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান— শহীদ মিনার থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। সেখানে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অনেকেই ছিলেন, কিন্তু তার ভাইকে কেউ রক্ষা করেনি। হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সবাই চুপ রয়েছে এমন ধারণা তার।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছেন— হামলাকারীরা স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক জনপ্রতিনিধির অনুসারী। ফয়সাল তাদের কথামত না চলায় এবং প্রতিপক্ষের সাথে সখ্যতা গড়ায় তার উপর এই হামলা হয়। ফয়সালের পরিবার হামলাকারীদের চিনলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। এই ব্যাপারে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন— শহীদ মিনারে ফয়সাল নামের এক যুবককের উপর হামলা হয়েছে বলে হাল্কা হাল্কা শুনেছি। তবে কেউ এখনো অভিযোগ জমা দেয়নি।