1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কয়রায় আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয় সভা খুলনা-৬: কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান, ভোটের মাঠে নামলেন বিএনপি নেতাকর্মী বেতাগীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপংকর দাশ দীপ মালয়েশিয়ার হৃদরোগে মারা যান মোংলায় চাঁদপাই রেঞ্জের সহ-ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি গঠন ভোলা-বরিশাল সেতুসহ ৫ দফা দাবিতে চরফ্যাশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত লং মার্চ শুরু নেত্রকোনায় গণপ্রকৌশল দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রানা প্লাজা আ.লীগের তৈরি ট্র্যাজেডি নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের দুই সদস্য গ্রেফতার ডে/ঙ্গু প্রতি/রো/ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভি/যান পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়ায়

রানা প্লাজা আ.লীগের তৈরি ট্র্যাজেডি

Md. Abdullah Al Mamun
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রানা প্লাজা ধসের ঘটনাকে “আওয়ামী লীগের তৈরি ট্র্যাজেডি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ শিল্পদুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১,১৩০ জন মানুষ প্রাণ হারান, যাদের অধিকাংশই নারী পোশাকশ্রমিক।

বুধবার (১২ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, “ভবন ধসের এক দিন আগে প্রকৌশলীরা ভবনটিকে স্পষ্টভাবে ‘অপরিচালনাযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাবে সাহসী হয়ে ওঠা সোহেল রানা কর্মীদের জোর করে আবার ভবনে ফিরিয়ে আনেন।”

তিনি আরও বলেন, “দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোপ্রধান জিম ইয়ার্ডলি তার প্রতিবেদনে সোহেল রানা ও তৎকালীন সাভার আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র নিশ্চিত করেছিল যেন রানার দলীয় পরিচয় আড়ালেই থাকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকেও চাপ দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা কেবল উদ্ধার অভিযান ও হতাহতের সংখ্যা নিয়েই সংবাদ প্রকাশ করে।”

শফিকুল আলম বলেন, “সোহেল রানা কোনো ব্যতিক্রম নন; তিনি তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কৃতিরই এক স্বাভাবিক ফল। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসন শুধু একনায়কতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করেনি—বরং দেশজুড়ে অসংখ্য ‘স্থানীয় দানব’ তৈরি করেছে। সোহেল রানা ছিলেন তাদেরই একজন।”

তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, “নিজাম হাজারী ও শামীম ওসমান তাদের নিজ নিজ এলাকায় ছিলেন ‘দানবপ্রধান’—দলের ছায়াতলে গড়ে ওঠে তাদের অবাধ ক্ষমতার প্রতীক। এমনকি শিক্ষিত সমাজেও দেখা গেছে একই বিষাক্ত আনুগত্য। ‘আওয়ামী চেতনা রক্ষার’ নামে বুয়েটের ছাত্ররা পিটিয়ে হত্যা করেছিল আবরার ফাহাদকে।”

প্রেস সচিবের মতে, “এসব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন উদাহরণ নয়; বরং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির এক অনিবার্য পরিণতি।”

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com