আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে ‘মামলা বাণিজ্যের কল রেকর্ড’ প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) এনসিপির দফতর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে তাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রিজভীর আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই দলের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর তার ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে এনসিপি নেতা রিজভীর সঙ্গে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজুর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড প্রকাশ করেন। ওই কল রেকর্ডে ‘মামলা বাণিজ্যের’ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন সায়ের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজুকে কারামুক্ত করার বিষয়ে রিজভীর সঙ্গে মোহাম্মদ মমিন নামে এক ব্যক্তির কথোপকথন হয়। সেখানে রিজভীকে সাজুকে সাতটি মামলায় ফাঁসানোর কথা বলতে শোনা যায়। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘ও চাইলে আমাকে এক কোটি, দুই কোটি টাকাও দিতে পারে—৩০ লাখ টাকার গল্প কেন ছড়ায়।’
এ বিষয়ে আজিজুর রহমান রিজভী ইত্তেফাককে বলেন, ‘একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাই। তারা আমাকে চার দিনের জন্য শোকজ করেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নই।’
দলীয় সূত্র জানায়, প্রকাশিত কল রেকর্ড ঘিরে ব্যাপক সমালোচনার পর সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।