1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

উথুলির নবান্ন উৎসবে জমজমাট মাছের মেলা

Md.sohag Ali
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার শিবগঞ্জে নবান্ন উপলক্ষে মাছের মেলা শুরু হয়েছে। ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলার মূল আকর্ষণ বড় মাছ। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে আজ ৩রা অগ্রহায়ণ। এ দিন বাঙালিরা নবান্ন উৎসব পালন করে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর শিবগঞ্জের উথুলী বাজারে এই মাছের মেলা বসে।

মঙ্গলবার  সকাল থেকেই বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বড় মাছ কেনাবেচার জন্য মেলায় ভিড় জমিয়েছেন। মেলায় এক দিনে কয়েক কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়।

নবান্ন উৎসব উপলক্ষে আশেপাশের গ্রাম যেমন সুবন্দোকোলা, সাদুল্লাপুর, বেড়াবালা, আকন্দপাড়া, গরিবপুর, গুজিয়া, মেদেনীপাড়া, বাকশন, গণেশপুর, মহাস্থান, মোকামতলা, পাকুড়তলা, রহবল শিবগঞ্জসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে রয়েছে নানা আয়োজন। প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়স্বজনদের আগে থেকেই নিমন্ত্রণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরেই মেলায় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শতাধিক দোকানে বোয়াল, রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড কার্প, ব্লাড কার্পসহ নানা রকমের মাছ বিক্রি হচ্ছে। মেলায় রুই, কাতলা ও চিতল মাছ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০-৪৫০ টাকা দরে ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে নবান্নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নতুন আলু যা নবান্ন উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা , ফুল কপি, বাঁধা কপি, কেশুর এবং মিষ্টি আলু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মিঠাই মিষ্টির দোকান ও ছোটদের খেলনা ও নাগরদোলা বসেছে।

স্থানীয় উথলী গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার  বলেন, ‘আমি দাদার কাছ থেকে শুনেছি প্রায় ৩শ বছরের পুরোনো এ মেলা। রাত ১২টার পর থেকেই শুরু হলেও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমে ওঠে এ মেলা।’

রায়হান আলী নামে আরেকজন বলেন, ‘নবান্ন উপলক্ষে এখানে এ মেলা বসে। এদিন আমাদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়। মূলত তাদের জন্যই বড় বড় মাছ মাছ কিনতে মেলায় আসছি।’

মাছ বিক্রেতা নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব জানান, মেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য সেখানে রাত থেকে ১৫-২০ টি আড়ৎ খোলা হয়। সেসব আড়ৎ থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন। ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম বেশি।
মেলাটির ইজারাদার বুলবুল ইসলাম বলেন, ”আমরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন স্তরের সেবা চালু করেছি যাতে করে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা নির্বিঘ্নে মেলায় আসতে পারে এবং তাদের পছন্দসই মাছ ও যাবতীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে। “

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com