1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কয়রায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে উদ্বুূ্দ্ধকরণ সভা রাবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কাল এক মাসেও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বিজয়ের খোঁজ নেই বগুড়ায় দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল ও স্ত্রী লিপির সম্পত্তি ক্রোক ‎পদোন্নতি বঞ্চনার অভিযোগে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচিতে পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষকরা সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসককে পুলিশ সুপারের ফুলেল শুভেচ্ছা জলবায়ু উদ্বাস্তু কয়রার মানুষের বাঁচার দাবি নব উদ্যমে খিরোল মহিলা দাখিল মাদরাসা মিঠাপুকুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

ঘাটাইলে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি বনজমি দখলের হিড়িক

Md. Abdullah Al Mamun
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বন বিভাগের জমি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। ধলাপাড়া রেঞ্জের আওতাধীন ঝড়কা, বটতলী, ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী বিটে অনুমতি ছাড়াই গড়ে তোলা হচ্ছে দোকান, বসতবাড়ি, পোলট্রি ফার্মসহ নানা স্থাপনা। অভিযোগ রয়েছে—বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এ দখলদারিত্ব দিন দিন বেড়ে চলছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে বন, বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

সূত্র অনুযায়ী, ধলাপাড়া রেঞ্জের ৬টি বিট অফিসের অধীনে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ হাজার ৭১৯ একর। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ একর জমি ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে। বিধি অনুযায়ী এসব এলাকায় গড়ে ওঠার কথা ছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান। তবে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়—দেওপাড়া ও ঝড়কা বিট ছাড়া অন্য কোথাও উল্লেখযোগ্য কোনো বাগান নেই।

সবচেয়ে বেশি বনজমি বেহাত হয়েছে সাগরদিঘী ও ধলাপাড়া সদর বিটে। সরকারি গাছের জায়গায় উঠেছে কলা, পেঁপে, হলুদ চাষ, আমবাগান, মিল কারখানা, পাকা বাড়ি ও পোলট্রি ফার্ম। স্থানীয়দের অভিযোগ—‘রক্ষকরাই ভক্ষক’। তাদের দাবি, এখন বনের জমি জোর করে দখল করতে হয় না; রেঞ্জ ও বিট অফিসে টাকা দিলেই মিলছে জমি।

সূত্র আরও জানায়, বনজমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে হলে কর্মকর্তাদের প্রকারভেদে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত “চাঁদা” দিতে হয়। আর সিসি পিলার বসিয়ে ছাদ ঢালাই করলে লাগে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। এই যোগসাজশের কারণেই সরকারি বনভূমি দিনে দিনে উজাড় হয়ে যাচ্ছে।

ঝড়কা বিটের অন্তর্গত সন্ধানপুর মৌজার নয়ন চালা গ্রামে দেখা যায়—মৃত সাবদুলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী সরকারি বনজমিতে বিশাল পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন এবং সেই বাড়িতে চালু করেছেন একাধিক ফার্ম। একই গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে হোসেন আলীকেও বনের জমিতে পাকা দালান নির্মাণ করতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি কোনো কথা না বলেই স্থান ত্যাগ করেন।

অন্যদিকে সাগরদিঘী বিটের পাগারিয়া আমতলা এলাকায় গত কয়েক মাসে পাশাপাশি চারটি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে বনভূমির ওপর। একই স্থানে পাগারিয়া বণিক সমিতির নামে নির্মাণ করা হচ্ছে আরও একটি বড় ঘর। নির্মাণ শ্রমিকরা জানান—জমি বন বিভাগের কিনা, তা তাদের জানা নেই; সমিতির নির্দেশে তারা কাজ করছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে সাগরদিঘী বিট কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম আনচারি ফোনে কোনো মন্তব্য না করে সংযোগ কেটে দেন।

ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন বলেন,
“এসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

স্থানীয়দের প্রশ্ন—আইন থাকলেও তা মানার কোনো উদ্যোগ নেই কেন? আর কত বন ধ্বংস হলে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com