দেশজুড়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত (৩২-৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত) যোগ্য প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির জিও (গেজেট) জারি না হওয়া পর্যন্ত ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করছেন বঞ্চিত প্রভাষকরা। একই দাবিতে বুধবার (১৯ নভেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকেরা।
কলেজের মোট ১৩ জন প্রভাষক এ আন্দোলনে অংশ নিয়ে পাঠদানসহ সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছেন। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতির গেজেট জারি না হওয়ায় তারা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এই কলেজে পদোন্নতি বঞ্চিতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৪তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১ জন, যিনি টানা ১০ বছর ধরে প্রভাষক পদেই কর্মরত। এছাড়া ৩৫তম ব্যাচের ২ জন, ৩৬তম ব্যাচের ২ জন এবং ৩৭তম ব্যাচের ১ জন প্রভাষক রয়েছেন।
এ ছাড়া ৩৮তম থেকে ৪৩তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের আরও ৮ জন প্রভাষক এ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন।
প্রভাষকরা জানান, যথাসময়ে পদোন্নতি না হওয়ায় তাদের আর্থিক, সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির গেজেট জারি না হলে তারা কর্মসূচি আরও কঠোর করার হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে ২০ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জনই কর্ম বিরতিতে থাকায় মুখ থুপড়ে পড়েছে এ কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কলেজের ১৩ জন প্রভাষক কর্ম বিরতিতে থাকায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক সমস্যার দেখা দিয়েছে। এছাড়া কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার সময় তারা কর্ম বিরতিতে থাকায় কক্ষ প্রত্যাবক্ষকের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে আমাদের পরীক্ষা কার্যক্রমে ও ব্যাহত হচ্ছে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাবো দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের জন্য।