1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নেত্রকোনায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার ওপর বর্বরোচিত হামলা রাবিতে ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশ ভূরুঙ্গামারীতে সরকার ঘোষিত মূল্যে মিলছে না গ্যাস সিলিন্ডার কয়রায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে উদ্বুূ্দ্ধকরণ সভা রাবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কাল এক মাসেও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বিজয়ের খোঁজ নেই বগুড়ায় দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল ও স্ত্রী লিপির সম্পত্তি ক্রোক ‎পদোন্নতি বঞ্চনার অভিযোগে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচিতে পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষকরা সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসককে পুলিশ সুপারের ফুলেল শুভেচ্ছা জলবায়ু উদ্বাস্তু কয়রার মানুষের বাঁচার দাবি

রাবিতে ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশ

ফজলে রাব্বি পরশ 
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) লেখক ফোরামের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশ: জুলাই বিপ্লবোত্তর ভাবনা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে সংস্কৃতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিসর তৈরি করা। দীর্ঘ রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ফলে যে আত্মরক্ষামূলক চর্চা তৈরি হয়েছিল। জুলাই আমাদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে। শুধু গান-বাজনা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমাদের সংস্কৃতি আরো বৃহৎ। আমাদের এখন নতুন ভাষা, নতুন ন্যারেটিভ এবং নতুন সামাজিক সংলাপ গড়ে তুলতে হবে। এই বিপ্লবের সাফল্য তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন শিল্প-সাহিত্য, গান-বাজনা ও গণমাধ্যম জনগণের অভিজ্ঞতা, চাওয়া-পাওয়া, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামকে নির্ভয়ে তুলে ধরতে পারবে।
বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. আবুল হাসেম বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনায় এক নতুন আলোর দিগন্ত খুলে দিয়েছে। লম্বা সময় ধরে যে ভয়, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ‘কিছু বলা যাবে না’ সংস্কৃতি সমাজকে গ্রাস করেছিল, সেটা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে নতুন এক মুক্তচিন্তার তরুণ প্রজন্ম। এখন আমাদের কাজ হলো এই স্বাধীন সৃজনশীলতার জোয়ারকে সংগঠিত করা, যাতে সংস্কৃতির বিকাশ রাজনৈতিক পরিবর্তনের মতো আকস্মিক না হয়ে স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়। জুলাই কেবল আমার একার নয়, এটি আমাদের। আমরা যদি গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক চর্চার সেতুবন্ধন গড়তে পারি, তবে এই বিপ্লব কেবল ক্ষমতার পরিবর্তনেই থেমে থাকবে না। তবেই এই বাংলাদেশকে আমরা ঠিক রাখতে পারবো।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, যেকোনো রেভ্যুলেশনকে সাসটেইনেবল করতে হলে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলালেই হয় না। এর সঙ্গে দরকার সামাজিক আস্থা পুনর্গঠন, সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রতিদিনের জীবনে প্রতিষ্ঠা করা। বিপ্লবের স্বপ্ন তখনই টিকে থাকে, যখন শিক্ষা, শিল্প-সাহিত্য, গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজ, সব মিলিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করে যেখানে মানুষ নিজের মত প্রকাশে নিরাপদ বোধ করে। যদি আমরা মানুষের অভিজ্ঞতা, ভাষা ও সংস্কৃতিকে নতুন রাষ্ট্রগঠনের কেন্দ্রে রাখতে পারি, তবে পরিবর্তন ক্ষণস্থায়ী আবেগে থেমে যাবে না। তা দীর্ঘমেয়াদে সমাজের চরিত্র, মানুষের মানসিকতা ও রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে স্থায়ী ছাপ ফেলবে।
আলোচনা সভায় প্রফেসর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতি বিশ্লেষক ফাহমিদ-উর-রহমান। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন।  এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কথাশিল্পী নাজিব ওয়াদুদ, প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, রাকসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com