হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ২ নং মোড়াকরি ইউনিয়নের অন্তর্গত মোড়াকরি থেকে জিরুন্ডা পর্যন্ত যোগাযোগের প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে কাঁচা ও চরম বেহাল দশায় পড়ে আছে। এই দীর্ঘ সময়েও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদের সংযোগস্থলটিতে।
মই ছাড়া ওঠা যায় না ‘হাওয়ায় দুলতে থাকা’বিমানের মতো সেতুতে!
সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্রটি হলো এই রাস্তার কাইট্টার খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। যুগের পর যুগ পেরোলেও সেতুটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে সেতুটির এমন করুণ দশা যে, সাধারণ মানুষের ব্রিজে ওঠার জন্য মইয়ের প্রয়োজন হবে !স্থানীয়দের অভিযোগ, “এ ব্রিজটি যেন হাওয়ায় বিমানের মত দুলছে।”
ফলে বাধ্য হয়ে দুই-তিন গ্রামের মানুষজনসহ কৃষি কাজের এবং যাতায়াতের সকল গাড়ি ব্রিজের নিচ দিয়ে, অর্থাৎ খালের ভেতর দিয়ে, ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাইট্টার খালে পানি জমে যায় এবং জনচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবহারের অনুপযোগী এমন একটি ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের মতে, এটি জনগণের উপকারে না এসে কেবল সরকারি অর্থ অপচয় করেছে।
এই রাস্তা ও সেতুটির কারণে পার্শ্ববর্তী দুই-তিন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয়দের মূল দাবি মোড়াকরি-জিরুন্ডা রাস্তাটিতে ইটের ছোঁয়া লাগানো হোক।
ব্যবহারের উপযোগী করে সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হোক।
এ ব্যাপারে ২ নং মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়সল মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। চেয়ারম্যান বলেন, “আমার পরিষদের কাছে এই কাজের জন্য কোনো ধরনের বরাদ্দ নেই। যদি উপজেলা পরিষদ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে দেওয়া হয়, তাহলে আমার এলাকার জনগণের অনেক বড় উপকার হবে।” তিনি আরও যোগ করেন যে এই রাস্তা ও সেতুটি সংস্কার হলে তার ইউনিয়নবাসী ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন।
দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে লাখাই উপজেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মোড়াকরি-জিরুন্ডা রাস্তাটি পাকা করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।