বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মবার্ষিকীকে ঘিরে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দেখা গেল এক ভিন্ন রকম দৃশ্য। রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়—মানবিক সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করলেন তরুণ চিকিৎসক নেতা ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. ইউনুছ আলী। দিনভর সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয় এক অভূতপূর্ব সেবা–উৎসবের পরিবেশ। অসহায় মানুষের দীর্ঘ লাইন, চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধার আশীর্বাদ, শিশুদের হাসি, আর এতিম শিশুদের খাবার হাতে আনন্দ—সব মিলিয়ে পুরো অনুষ্ঠানস্থল যেন হয়ে ওঠে মানবিকতার এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।
দিনব্যাপী যে সেবামূলক কর্মকাণ্ড নজর কাড়ে
তারেক রহমানের জন্মদিনে ডা. ইউনুছ আলীর নেওয়া উদ্যোগ ছিল পুরোপুরি জনকল্যাণমূলক। কর্মসূচির মধ্যে ছিল—
অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য বিনা মূল্যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা,বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ,ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়,ডায়াবেটিস টেস্ট,হৃদরোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান,অভাবী মানুষের মাঝে বৃক্ষের চারা বিতরণ করে পরিবেশবান্ধব বার্তা পৌঁছে দেওয়া,এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার বিতরণ।
দিনভর হাজারো মানুষের জনসমাগমে যেন একটি অব্যক্ত মানবিক আন্দোলন সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন স্তরের বি এন পি র নেতাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে যোগ করে প্রাণ।মানবিক এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান,যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম সরকার, নাজির হোসেন মাস্টার, মোজাম্মেল হক দুদু,পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক,উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরুল আমিন সিদ্দিকী, মাহফুজার রহমান সিদ্দিকী, জাহিদুল ইসলাম খান, ইব্রাহিম আলী,সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও যুবদল নেতা ফরহাদ হোসেন,ভুরুঙ্গামারী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন তৌহিদ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, ইসাহাক আলী মাস্টার,এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও দুই উপজেলা থেকে আগত অসংখ্য নেতাকর্মীরা।তাদের উপস্থিতিতে পুরো অনুষ্ঠানস্থল ছিল প্রাণবন্ত ও উৎসাহব্যঞ্জক।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীরা ও হৃদয়ছোঁয়া মন্তব্য প্রকাশ করেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক বৃদ্ধা রমিজন বেওয়া(৮২) কাঁপা কণ্ঠে বলেন—
“আমার ওষুধ কেনার টাকা নেই। ডা. ইউনুছ বহুদিন ধরেই আমাদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেন। আজ আবার ফ্রি টেস্ট, ফ্রি চিকিৎসা—আমরা তো তাঁর দোয়ায় বেঁচে আছি।”
মজিবর রহমান( ৫৭) বলেন—“তিনি রাজনীতি করেন মানুষের জন্য।বর্তমান সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে তাকে মনোনয়ন দিলে, তাঁকে নির্বাচিত করতে আমরা আপ্রান চেষ্টা করবো।”
জনমানুষের ডাক—“ডা. ইউনুছ মানুষের নেতা”।অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের মন্তব্যে পরিষ্কার—ডা. ইউনুছ আলী শুধু রাজনৈতিক কর্মী নন, মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে নাগেশ্বরী–ভুরুঙ্গামারী–কচাকাটা এলাকায় তাঁর ফ্রি চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম তাকে মানুষের হৃদয়ের খুব কাছে নিয়ে গেছে।
তারেক রহমানের জন্মদিনে মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও মানবিক সেবার এক অনন্য উদাহরণ উপহার দিলেন ডা. ইউনুছ আলী। রাজনৈতিক কর্মসূচি যখন অনেক সময় বিতর্কে ঘেরা থাকে, সেখানে এই আয়োজন দেখিয়ে দিল—মানুষের সেবা সবচেয়ে বড় রাজনীতি।