নড়াইল-ফরিদপুর কালনা সেতু এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় জিহাদ নামের এক মটরসাইকেল চালক আহত হয়েছে।
জানাগেছে ২১ নভেম্বর শুক্রবার নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকার জিহাদ (১৮) নামের এক তরুন তার মটর সাইকেল নিয়ে কালনা সেতুর নড়াইল প্রান্তে পৌছালে অতর্কিতভাবে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন সন্ত্রাসী লাঠি হাতে তার গতিরোধ করে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের একজন জিহাদকে জিজ্ঞাসা করে, “তোর গাড়ীর কাগজ পত্র আছে? বের কর।”
চালক জিহাদ কাগজপত্র আছে জানালে তারা সেটি দেখতে চায় এবং মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলে মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয়। অপর দুই দুবৃত্তরা জিহাদের কলার চেপে ধরে হেলমেড খুলতে থাকে ও বেধড়ক কিল ঘুষি মারতে থাকে।
একপর্যায়ে লাঠি হাতে থাকে দুবৃত্ত জিহাদের উপর লাঠি দিয়ে সজোরে হামলা করতে থাকে ও বলতে থাকে- “তোর গাড়ির এত শব্দ কেন?”
অজ্ঞাত পরিচয়ের দুবৃত্তদের অতর্কিত হামলার সম্মুখীন হয়ে মোটর সাইকেল চালক জিহাদ বারবার তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ছেড়ে দেবার আকুতি জানালেও দুবৃত্তরা তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে ও পকেটে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ সহ মূল্যবান সামগ্রী খুজতে থাকে। একপর্যায়ে আশেপাশের পথচারীরা এগিয়ে এলে দুবৃত্তরা অপর একটি মোটর সাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
জিহাদের হেলমেডে সংযোগকৃত ক্যামেরাতে সন্ত্রাসী হামলার পুরো দৃশ্যটি ধারন করা হয়েছে যা অনলাইনে প্রচার করা হলে টক অব দ্যা টাউন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রতক্ষদর্শীরা জানান কালনা সেতু এলাকায় প্রতিদিনই নারী-পুরুষ অনেক দর্শনার্থী বা পথচারিরা আসেন, ইদানিং বিভিন্ন অজুহাতে কিছু দুবৃত্ত বা সন্ত্রাসীরা ফাঁকা স্থানে ডেকে নিয়ে বা প্রকাশ্যেই মারধর করে বা ভয় দেখিয়ে লুটপাট ছিনতাই বা লাঞ্চিত করা হচ্ছে। দুবৃত্তদের সঠিক পরিচয় না জানলেও প্রতক্ষদর্শীরা জানান, এরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা তাদের ছত্রছায়ায় থাকা উশৃংখল যুবক। প্রাথমিকভাবে দেখেই তারা অধিকাংশই নেশাগ্রস্থ্য বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
জিহাদের উপর হামলার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় জেলা জুড়ে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সময়মতো পথচারীরা বা স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না এলে ছিনতাই বা গুরুতর হামলর মতো ঘটনা ঘটতে পারতো। ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি না দিলে যে কোন সময় প্রানহানী সহ মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করা হচ্ছে।