আগামী ২৬ সালে জাতীয় নির্বাচন।সারাদেশের মত কুড়িগ্রামের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
জেলায় পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটার প্রায় সমান।নারী ভোটাররাই মূল ফ্যাক্টর হিসেবে পালন করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।রেকর্ড সংখ্যক নারী ভোটের ওপরেই নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করবে বলে মনে করছেন তারা। জেলার শহর,গ্রামে নারী ও নতুন প্রজন্মের নারী ভোটাররা কি ভাবছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে।
অনেকেই মনে করছেন গনতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রের জন্য জরুরী ভিত্তিতে নির্বাচন জরুরী। অনেকে বলছেন একটি সরকার আসলে নারীরা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারবে।গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে চলা নারীর প্রতি একের পর এক সংহিসতার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে জেলার সর্বমহলের নারীদের।
নারীর নিরাপত্তাহীনতা শংকা নিরসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারীরা রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নারীরা মনে করছে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনে কোথায় যেন একটি সংকট তৈরী হয়েছে।এজন্য নারী নেতৃত্বে যারা আসতে চান তারা এক সাথে আসা সংর্ঘষের মুখোমুখি পড়েছে।
নারী ভোটারদের আগে নির্ধিতায় ভোট দেয়ার একটি সংস্কৃতি ছিল। এই সংস্কৃতি পূর্ণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার জন্য একটি ভৌতিক পরিস্থিতি বা অদৃশ্য গুঞ্জন কাজ করছে। তার থেকে বেরিয়ে আসতে চায় জেলার নারী ভোটাররা।
ধর্মভিত্তিক কোন রাজনৈতিক দল যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে সে ক্ষেত্রে নারীদের বিচরণ কিছুটা বাঁধার সম্মুখীন হতে পারে এ আশংকা এ অঞ্চলের অনেক নারী ভোটারের। তবে অনেক নারী ভোটার মনে করে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা নারী পুরুষের অধিকারের জায়গাটা নিশ্চিত করবে।
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নারী ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কিনা। পারিবেশ যদি সংঘাত মুখর না হয়ে উৎসব মুখর হয় তাহলে নারী ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে। কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫শ ৫৫জন এর মধ্যে পুরুষ ৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৭শ২৭ জন আর নারী ভোটার ৯লক্ষ ৪৪হাজার ৮শ ৭ জন। নারী ভোটার প্রায় ১৩ হাজার বেশী পুরুষের চেয়ে।
কুড়িগ্রাম খলিলগঞ্জ এলাকার গৃহিনী কলি,মুক্তা,রচনা ব্যানার্জি বলেন, আমরা শুনেছি ফেব্রয়ারী মাসে ভোট হওয়ার কথা। আমরা নারী জাতি। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে আমাদের মূল্য কম।একটি নির্বাচিত সরকার হলে আমাদের সমস্যা ও দাবী আমরা তুলি ধরতে পারবো।
কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মু্ন্নী আকতার জানান, আগামী নির্বাচনে যে আসুক না কেন সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে আসুক। নারীরা যাতে সব জায়গায় এগিয়ে যেতে পারে নতুন প্রজন্ম আমরা এটাই ভাবছি। নারীদের যেন সব জায়গায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। নারীদের পথ চলার জন্য সবকিছু সহজ করে দেয়া হয।
কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা চৌধুরী জানান সংরক্ষিত আসন নয় নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে আসুক। আমরা আশা করছি যে আগামীতে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। আমরা একটি কল্যান অস্প্রদায়িক মানবিক একটি রাষ্ট্র পাবো। যে সমস্যা গুলো ছিল আমাদের দেশে,তার থেকে আমরা পরিত্রান পাবো।
কুড়িগ্রাম মজিদা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া আকতার জানান আমরা নারীরা সম অধিকার চাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এটা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটা অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। কারণ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। যে কোন রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য গণতান্ত্রিক সরকারের দরকার।