ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা রুহিয়া থানায় নেই পাবলিক টয়লেট, বেশি বিপাকে পড়েছে নারীরা এবং নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয় জনসাধারণকে। নবগঠিত রুহিয়া থানা বাস্তবায়ন হওয়ায় দিন দিন শিল্পাঞ্চলের ব্যাপ্তি ঘটায় এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকা,গ্রাম থেকে কাজের সন্ধানে ও ব্যবসায়ীক কাজে আসছে মানুষ এবং আশেপাশের বড় বাজার হওয়ায় গ্রামঅঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে ছুটে আসে ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া বাজারে।
কিন্তু চরম ব্যস্ত এ এলাকায় নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার। ফলে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ব্যবসায়ী,ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মমুখী পথ চলতি মানুষকে। এতে পুরুষেরা বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে বা বিভিন্ন খোলা জায়গায় মূত্রত্যাগ করেন। অনেক জায়গায় মলত্যাগ করে ছিন্নমূলেরা। ফলে বাড়ছে পরিবেশদূষণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে জনভোগান্তিও।
সরজমিনে দেখা যায়, রুহিয়া চৌরাস্তা মোড়ে পাকা রস্তার পাশে ফাকা জায়গা থাকলেও প্রভাবশালীদের দখলে দোকান ঘড় উতলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।সংলগ্ন একটি ব্যস্তময় বাজার। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন কর্মজীবি মানুষ ও ক্রেতারা। বাজারে টয়লেট বলতে মন্তাজ হোটল, রুহিয়া কেন্দ্রীয় মসজিদ। সেখানে গেলে সিরিয়াল নিয়ে থাকতে হয়।সে বিষয়ে ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বাজারে গণশৌচাগার জরুরী প্রায়োজন কিন্তু নিদিষ্ট জয়গার অভাবে গণশৌচাগার নির্মাণ করা যাচ্ছে না।সাধারণ মানুষকে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সময় অনেক পথচারী বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে মলত্যাগ করতে। রুহিয়া চৌরাস্তা ঔষধ ব্যবসায়ী সুজন বলেন পাবলিক টয়লেট না থাকায় বাজারে আসা মানুষ রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করে।
এতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। দ্রুত সরকারিভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা দরকার। রুহিয়া বাজারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকেটা করতে আসা রাজাগাঁও ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম বলেন, রুহিয়া একটি থানা বাজার এখানে কোনো পাবলিক টয়লেট না থাকায় আমাদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা পুরুষ মানুষ তো কোনো না কোনোভাবে সারতে পারি; কিন্তু মহিলা ও বাচ্চাদের সমস্যা পোহাতে হয়। পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট না থাকায় নারীদের ভোগান্তি অবর্ণনীয়।