গত ১৪ ই শাবান দিবাগত রাতে সারা মুসলিম জাহানে ধর্মীয় ভাব- গম্ভীর্য মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও , মাগফেরাত এবং ইবাদত বান্দেগীর রাত পবিত্র শবে- বরাত। মহান আল্লাহ সুবহানোতাল্লার নৈকট্য লাভ ও অতীত জীবনের গুনাহ মাফের আশায় এবং ভবিষ্যৎ ভাগ্যে সুপ্রসন্ন করার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় কুতুবদিয়ার ঘাটকুল পাড়া শাহেব মিয়া জামে মসজিদেও অত্র এলাকার শত শত মুসল্লি পবিত্র এশার আজানের সাথে সাথে মসজিদে উপস্থিত হন পবিত্র শবে-বরাতের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য।
যথারীতি এশার নামাজের পরে সন্মানিত মুসল্লীগন যখন ” শবে- বরাতের ” নামাজ আদায়ের জন্য অপেক্ষা৷ করছিলেন, ঠিক তখনই সাউন্ড বক্সে অত্র মসজিদের সন্মানিত খতিব জনাব খাইরুল আলমের কন্ঠে ভেসে আসে, ” পবিত্র কোরান- হাদিসে” কোথাও শবে- বরাতের কোন নামাজ নাই। খতিব সাহেবের এই ঘোষাণা নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই মুসল্লীদের শুরু হয়ে যায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া। এক পর্যায়ে৷ মুসল্লীদের ভিতর এই ঘোষণার পক্ষে- বিপক্ষে অবস্থায় নিয়ে গন্ডগোল ও চিৎকার করতে করতে সব মুসল্লী মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় এবং এক সময় পরিস্থিতি হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হলে কয়েকজন মিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য কে তার মুঠো ফোনে কল দিলে যাবতীয় ঘটনা শুনার পর ইউপি সদস্য জনাব মোশারফ হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অত্র এলাকার৷ গন্যমান্য কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে শোনেন এবং সকলে এ বিষয়ে আরো কয়েকজন আলেম এনে ফয়সালার আশ্বাস দেন এবং উত্তেজিত মুসল্লীদের কবল থেকে খতিব সাহেবকে উদ্ধার করে তার সাথে নিয়ে যায়। অত্র মসজিদের নিয়মিত ইমাম জনাব মোহান্মদ হোসেন মুসল্লীদেরকে শবে- বরাতের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মুসল্লীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়।