লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ২নং মদাতী ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া মিলছেনা কোন সেবা।ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাগন অভিযোগ তুলেছেন ২নং মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাহিদ কাওছার এর বিরুদ্ধে।ভুক্তভোগী সেবা গ্রহীতাগন বলেছেন যে একটি জন্মনিবন্ধন সনদ তুলতে সরকারি ফি জমা দিতে হয় ৫০/-টাকা কিন্তু আমাদের কাছে নেয় ১৫০/- টাকা ক্ষেত্রবিশেষে হাজার টাকা। উত্তরাধিকার সনদ তুলতে নেন ২৫০/- থেকে ৫০০/- টাকা কিন্তু চৌকিদারী ট্যাক্স এর কথা বলে ও বসত বাড়ি ট্যাক্স এর কথা বলে রশিদ দেন ২০০/- টাকার, প্রশ্ন হলো আমরা তো প্রতিবছরই চৌকিদারী, বসত বাড়ি ট্যাক্স ফি পরিশোধ করি তাও আবার বাড়ি থেকে নিয়ে যায় প্রত্যেক ওয়ার্ডের চৌকিদার গন। কিন্তু যতবার সেবা নিতে যাই ততবারই কি পরিশোধীত ফি গুলো পুনঃরায় দিতে হয়।গত ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং রোজ বুধবার ২নং মদাতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আশরাফ হোসেন তার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদ তুলতে গিয়ে বলেন যে আমি গত তিন থেকে চার দিন ধরে আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ তোলার জন্য পরিষদে ঘুরতে থাকি। আমার কাছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাহিদ কাওছার ১৫০/- টাকা চেয়ে নেন আমি টাকা দেওয়ার পর জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করে দেন, আবেদন করে দিয়ে ১০০/- টাকার একটি রশিদ লেখেন তিনি, আমার হাতে রশিদটি দিয়ে পুনরায় রশিদ টি জমা নেন মোঃ জাহিদ কাওছার, আমাকে বলল এই রশিদ টি উপজেলায় পাঠানো হবে।আমি এই বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে সাংবাদিকদের জানাই।দিকে ২নং মদাতী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য জমাকৃত অর্থের রশিদ টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পাঠানো হয়।লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার অফিসে কোন রশিদ জমা করা হয় না, শুধু মাত্র জন্ম নিবন্ধন সনদ এর জন্য যাবতীয় প্রমাণাদির কাগজ পত্র দাখিল করা হয়পুনরায় ২নং মদাতী ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে বলেন জন্মনিবন্ধন সনদ এর ফি অনলাইনে জমা করা হয়। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।