কক্সবাজারের পেকুয়ায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে, স্থানীয় পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আরিফ (৪৫) অপহরণের শিকার হন। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতব্বর পাড়া এলাকার বজল আহম্মদের ছেলে। অপহরণের শিকার শিক্ষক আরিফের পরিবারের লোকজন বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর পেকুয়া চৌমুহনী থেকে অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আরিফের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে। সর্বশেষ গত বুধবার পর্যন্ত অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে পরিবারের কাছে। শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদুল ইসলাম বলেন, জায়গাজমির বিরোধের কারণে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর ভাইয়েরা আমার ভাইকে অপহরণের পর গুম করে হত্যা করেছে এবং হত্যার পর পায়ের সঙ্গে ইট বেধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দে বলে জানান। তিনি আরও জানান আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে অপহৃত শিক্ষকের বসতবাড়ির আঙিনার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আজ বেলা তিনটার দিকে এক শিশু পরিত্যক্ত পুকুরটিতে বড়শি ফেলতে গেলে নাকে দুর্গন্ধ লাগে। সে বিষয়টি শিক্ষকের পরিবারের লোকজনকে জানালে তাঁরা এসে লাশ দেখতে পান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের সঙ্গে ইট বাঁধা ছিল। এ খবর জানাজানি হলে অপহৃত শিক্ষকের হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিক্ষুব্ধ লোকজন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে চার–পাঁচ দিন আগে ওই শিক্ষককে হত্যার পর ইট বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।