1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাড়ছে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা রংপুরের পীরগাছায় পদায়ন হলেন সাতক্ষীরার সেই বিতর্কিত ইউএনও বকশীগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও পরিবেশ উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ ইউএনও মাসুদ রানার তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে Asian Business iconic Awards-2025 অর্জন করেছেন কুড়িগ্রামের যুবক মোহাম্মদ আরিফ বিন খন্দকার। শিবগঞ্জে ১০ হাজার আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস বদলগাছী থানাধীন বেগুন জোয়ার এলাকা থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ মেলান্দহে শিক্ষার্থীদের মাঝে মশারি বিতরণ কাঠের ঘানি দিয়ে তেল মাড়াই যে গরুর বিকল্প ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেল বিষাক্ত চিংড়ি ৮০ কেজি ও নৌকা আটক, জড়িতরা পলাতক চিরিরবন্দরে নার্সারিতে অভিযান পরিবেশবিরোধী ইউক্যালিপ্টাস-আকাশমনি চারা ধ্বংস

অবশেষে বদলী হলেন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমান

mehedi hasan
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানকে বদলী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন পর তার বদলির এ খবরে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিসসহ পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা, পোস্ট অফিসের গ্রাহক এবং সর্বস্হরের জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমাদের প্রতিনিধিকে জানায়, আব্দুর রহমান ছিলেন দুর্নীতিবাজ। মিষ্টি ভাষী অমায়িক ব্যবহারের আড়ালে প্রচন্ড হিংসুটে দুর্নীতি হিংস্রতা ও দুর্নীতির কারনে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু এরপরও সবসময়ই দুর্নীতি করে কীভাবে পার পেয়ে যায়। তাার সাথে ডাক বিভাগের ডিজি ও পিএমজি সহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ কোন দিন কিছু করতে পারেনি। কেউ কেউ বলেন, তার দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটা অংশ ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা পেত বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। স্হানীয় প্রশাসন এবং কিছু সংখ্যক সাংবাদিকরাও এর ভাগ পেতেন। তার বদলির খবরে অনেকেই আনন্দিত। আবার অনেকে বলেছেন, আব্দুর রহমানের অপকর্মের ফল হিসেবে তাকে বদলি করা হলেও ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষা করে নিরাপদ যায়গায় নিয়ে গেছেন। ডাক বিভাগের উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করার আগ পর্যন্ত তাকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা। অনেকে বলছেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সে যেকোন মূল্যে যে কোন সময় আবারো নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে চলে আসতে পারে দুর্নীতির সাম্রাজ্য পুনরায় বিস্তার করবে।। সে যেন পুনরায় না আসতে পারে তারও দাবী জানান ডাক বিভাগের কাছে।গত ২৯ শে এপ্রিল এবং ১৩ ই মে দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকা। সংবাদ প্রকাশের পরপরই নড়েচড়ে বসেন ডাক বিভাগ এবং ২০ শে মে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।বদলীর আদেশের কথা নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী ডিপিএমজি মহোদয় শংকর কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন ২০ শে মে আমি আব্দুর রহমানের স্ট্যান্ড রিলিজের কাগজ হাতে পাই এবং আজ ২১ শে মে তাকে কর্মস্হলে যোগদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। আজ চট্টগ্রামে যোগদান করেন বলে আমার কাছে খবর এসেছে।আব্দুর রহমানের কাছে বদলীর বিষয় মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি আজ ২১ শে মে নতুন কর্মস্হলে যোগদান করেছি আর আমি গতকাল জানতে পারি আমাকে বদলী করেছে। আমি চেষ্টা করবো এবং তদবির করবো আমাকে যেন অতিদ্রুত পূনরায় নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের দায়িত্ব প্রদান করেন এবং আমাকে পিএমজি মহোদয় আশ্বাস প্রদান করেছেন আমার বিষয়টি উনি দেখবেন। তিনি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার পেছনে পোস্ট অফিস পরিদর্শক খালেদের হাত আছে খালেদ আমার বিরুদ্ধে এই সব করাচ্ছে টাকার বিনিময়ে আমি বিষয় টি পিএমজি মহোদয় কে জানিয়েছি আমার বদলীর সাথে সাথে খালেদ কে বদলী করে দিয়েছি।

খালেদ হোসেন কে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে রহমান সাহেব মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন আমি এই বিষয় কিছুই জানি না আমাকে বিগত ৫ বছরে অনেক জায়গায় বদলি করা হয়েছে কি কারনে বদলী করা হয়েছে আমি তা জানি না। আমাকে বদলী করে ডিপার্টমেন্ট যেখানে দিবে আমি সেখানে যেতে প্রস্তুত। কোথায় বদলী করলো আমি তা দেখি না শুধু বুজি আমাকে সরকার রেখেছে শুধু কাজ করতে আর গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা আর আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি আমার দায়িত্ব পালন করতে। আমার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার কারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।  আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা অর্থ আত্মসাৎ, রড চুরির, টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদান, টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্য, দুদুকের অভিযোগ সহ বিভাগীয় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে একটি অভিযোগে তার ইনক্রিমেন্ট তিন মাস স্থগিত করা হয়। ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে দুদকের অভিযোগ টি এখনো কোন সুরাহা হয় নি।অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না ডাক বিভাগ। তাহলে কি আব্দুর রহমান সবাই কে টাকা দিয়ে মেনেজ করে। এতসব অপরাধের পর ও আব্দুর রহমান কে বরখাস্ত না করে পিএমজি মহোদয় উনার কাছে নিয়ে গেছেন। তা হলে কি ডাক বিভাগের মান সম্মানের চেয়ে  আব্দুর রহমানের দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা ই তাদের মূল উদ্দেশ্য!
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com