1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরা চৌরঙ্গী মেড়ে অবস্থিত মাগুরা প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠান ২০২৪ লালমনিরহাটে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন মানুষ সংস্কার বুঝে না, বুঝে শুধু উন্নয়ন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জুলাই-আগষ্টে গণঅভ্যুস্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া যাত্রী ছাউনীর বেহাল অবস্থা তারেক রহমান ও শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের ও বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬৫তম রুহিয়া আজাদ মেলা উদ্বোধন দৌলতপুরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু শেখ হাসিনা বাকশাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, ভেবেছিলেন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হরিরামপুর ইউনিয়নে পন্থি ভূমি দস্যুকর্তৃক ৫ লক্ষ টাকার বাগানের গাছ কর্তনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আজ মানিকগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

আল আমিন সরকার সোহাগ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন মহকুমা, বর্তমানে জেলাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
জেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রতি বছর দিনটিকে ‘মানিকগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছেন।
১৯৭১ সালের মার্চে রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাকাণ্ড শুরু করার পরপরই পুলিশের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন মানিকগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা।
২৬ মার্চ ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ ট্রেজারির তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে ছাত্র-জনতার মাঝে বিতরণ করা হয়। হালিম চৌধুরীই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মানিকগঞ্জে শহীদ হয়েছেন ৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। পঙ্গু হন ৯ জন বীরসেনা। যুদ্ধে অবদানের জন্য বিভিন্ন খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন চারজন মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন- স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম (বীরপ্রতীক), ইব্রাহীম খান (বীরপ্রতীক), শহীদ মাহফুজুর রহমান (বীরপ্রতীক) এবং মোহাম্মদ আতাহার আলী খান (বীরপ্রতীক)।
মানিকগঞ্জের সাত উপজেলা থেকে অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বর থেকে পাকসেনারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে থাকে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে পাকবাহিনী চলে গেলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। হানাদারমুক্ত হয় মানিকগঞ্জ।
মানিকগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে সমবেত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। দিবসটি স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হয়ে আসছে। এবারও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এই দিনটি স্মরণ করা হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলার হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে। রাত ১২.০১ মিনিটে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলা মাঠে) স্বাধীনতার ৫৩ বছরে “৫৩ টি মশাল প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের চেয়াম্যানসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com