1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়ায় ১টি এসএমজি, ১৪লাখ টাকাসহ ৪জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী আদালতের রায় থাকার পরও জমি দখল পাচ্ছেন না প্রকৃত মালিক — হেঙ্গলকান্দীতে অবৈধ দখলের অভিযোগে প্রশাসনের নীরবতা রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কে ১ বছরের কারাদণ্ড কাঠালিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি সেনাবাহিনীর হাতে আটক নবাগত ইউএনও আফরিন জাহানকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি শাখার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পীরগঞ্জে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় যুবদলের লিফলেট বিতরণ জুলাই চত্বর এখন থেকে হবে আমাদের চেতনার জায়গা ও শক্তির জায়গা- বিভাগীয় কমিশনার ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ স্টার্ট নেটওয়ার্কের সহায়তায় বন্যা আগাম প্রস্তুতি প্রকল্প বাস্তবায়ন

আজ মানিকগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

আল আমিন সরকার সোহাগ
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর তৎকালীন মহকুমা, বর্তমানে জেলাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে মুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
জেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রতি বছর দিনটিকে ‘মানিকগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে আসছেন।
১৯৭১ সালের মার্চে রাতে ঢাকায় পাক হানাদার বাহিনীর হত্যাকাণ্ড শুরু করার পরপরই পুলিশের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন মানিকগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা।
২৬ মার্চ ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ ট্রেজারির তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে ছাত্র-জনতার মাঝে বিতরণ করা হয়। হালিম চৌধুরীই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মানিকগঞ্জে শহীদ হয়েছেন ৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা। পঙ্গু হন ৯ জন বীরসেনা। যুদ্ধে অবদানের জন্য বিভিন্ন খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন চারজন মুক্তিযোদ্ধা। তারা হলেন- স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) বদরুল আলম (বীরপ্রতীক), ইব্রাহীম খান (বীরপ্রতীক), শহীদ মাহফুজুর রহমান (বীরপ্রতীক) এবং মোহাম্মদ আতাহার আলী খান (বীরপ্রতীক)।
মানিকগঞ্জের সাত উপজেলা থেকে অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বর থেকে পাকসেনারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে থাকে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ থেকে পাকবাহিনী চলে গেলে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। হানাদারমুক্ত হয় মানিকগঞ্জ।
মানিকগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে সমবেত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। দিবসটি স্মরণে ১৯৯১ সাল থেকে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হয়ে আসছে। এবারও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও এই দিনটি স্মরণ করা হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলার হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে। রাত ১২.০১ মিনিটে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলা মাঠে) স্বাধীনতার ৫৩ বছরে “৫৩ টি মশাল প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের চেয়াম্যানসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com