নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার হেঙ্গলকান্দী গ্রামে আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও জমির প্রকৃত মালিক জমির দখল বুঝে না পাওয়ায় চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত একটি চক্র আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
সূত্র জানায়, হেঙ্গলকান্দী মৌজার ২৫৩ নম্বর দাগ ও আরএস খতিয়ান নম্বর ৫৯৮ এর অধীনে সোয়া ৬ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলছিল। অবশেষে আদালতের রায় প্রকৃত মালিকের পক্ষে গেলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আবু তালেব প্রতারণার মাধ্যমে তার পাশের জমির সাথে প্রকৃত মালিকের জমিও সিরাজ নামের একজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন। শুধু বিক্রিতেই থেমে থাকেননি, বরং জমির প্রকৃত মালিক জাহেদুল ইসলাম, জামাল হোসেন এবং জহুরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলাও দায়ের করেন।
কিন্তু পাঁচ বছর ধরে চলা মামলায়, যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়ে জমির মালিকানার বৈধতা ফের জাহির করেন প্রকৃত মালিকদের পক্ষেই। এরপরও অবৈধ দখলদাররা জমি ছাড়ছেন না।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন:
১.আবু তালেব অবৈধভাবে (জমি বিক্রেতা)
২. সিরাজ (অবৈধ ভাবে বিক্রি করা জমি ক্রেতা)
তারা আদালতের রায় অগ্রাহ্য করে জমিতে অবস্থান করছেন এবং মালিক পক্ষকে প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা হুমকি, ভয়ভীতি ও জমিতে থাকা গাছপালা কেটে নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তারা।
ভুক্তভোগী জান্নাতুন ফেরদৌস জানান,
আমরা রায় পাওয়ার পর জমিতে ফিরে এলেও সিরাজ ও তার লোকজন আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি আমাদের লাগানো ফসলের গাছগুলোও কেটে দিয়েছে তারা। আমরা একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো কার্যকর সাড়া পাইনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভূমি অফিস ও থানা প্রশাসন যথেষ্ট অবগত থাকার পরও রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।