আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁ। স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৮০ শতাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। বাগান মালিক, কৃষিবিদ ও আমচাষিরা জানান, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ এ জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে।
নওগাঁ জেলায় সুবাস ছড়াতে শুরু করেছে আমের মুকুল। সেই সুমিষ্ট সুবাস মাতিয়ে তুলছে সকলকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মৌমাছির গুঞ্জন। মধু আহরণে ছুটে আসছে মৌমাছির গুঞ্জনে আলাদা এক আবহ তৈরি হয়েছে গ্রামের আম বাগানগুলোতে।
তবে নওগাঁ জেলার পোরশা এবং সাপাহার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু নওগাঁ জেলার প্রতিটি অঞ্চলেই আম চাষে মনোযোগী হয়েছেন কৃষকেরা। সফলতার আসায় চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান তৈরি করছেন। ধীরে ধীরে জেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে নতুন নতুন আমের বাগান। এখানকার উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় চাহিদাও অনেক।
এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে। হিমসাগর, চোষা, , ল্যাংড়া, ফজলি, আলতাপেটি, রানি পছন্দ, দুধ সর, আমরুপালি, লক্ষনভোগ, ফজলি ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয় এ অঞ্চলে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আবহাওয়াগত ও জাতগত কারণেই কিছু গাছে আমের আগাম এই মুকুল আসতে শুরু করেছে। এসব গাছে ফুল ফোটার আগে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এতে কুয়াশা বা অন্যান্য পোকার যে আক্রমণ, তা কম হবে। তবে কোনো ক্রমেই গাছে সেচ দেওয়া যাবে না। এতে নতুন করে পাতা জন্মাবে। এই জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের অনেক ভালো ফলন হবে বলে আশাবাদী নওগাঁ জেলার অমচাষী কৃষকেরা।